অবিনশ্বরের পদতলে
অবিনশ্বরের পদতলে
হাকিকুর রহমান
কবে যেনো নিজেকে একেবারেই হারিয়ে ফেলেছিলাম,
কবে যেনো আকাশটা গিয়েছিলো ঢেঁকে ঘণ কালো মেঘে,
কবে যেনো নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিলো মরুদ্যানের ক্ষুদ্র জলাধারটা,
কবে যেনো স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো হতাশার চিহ্নগুলো,
কবে যেনো উবে গিয়েছিলো তৃষিত মনের পিয়াসা,
কবে যেনো ঝরেছিলো এক পশলা বৃষ্টি চৈত্রের রোদের বুক চিরে,
কবে যেনো কেউ শুনতে পেয়েছিলো ভরা ফাগুনের হুতাশের ক্রন্দন,
কবে যেনো পূর্ণ জোসনায় চাঁদটা উঁকি দিতে ভুলে গিয়েছিলো
দারুচিনি গাছটার ফাঁক দিয়ে,
কবে যেনো কে হেঁটে গিয়েছিলো মৌন পায়ে পৌষের
ঝরা পাতার মর্মরে,
কবে যেনো কে গেয়ে ফিরেছিলো কোন সে চেনা সুর ধরে
অচিন গাঁয়ের পথ বেয়ে,
কবে যেনো কে অস্ফুট স্বরে কি কথা কয়েছিলো
যদিওবা সেটা বুঝতে পারেনি কেউ কখনও,
কবে যেনো কে বঁধুয়ার বেশে আলতা রাঙা পায়ে
পালকীতে চড়ে গিয়েছিলো কোন সুদূর গাঁয়ে
যদিওবা কেউ তার খবর আর রাখেনি,….
তবুওতো পৃথিবীটা ঘুরেই চলেছে তার কক্ষপথে
যদিওবা শত-সহস্র-লক্ষ-কোটি বছর পরে
হয়তোবা থেমে যাবে চিরতরে,
কারণ, অন্য সব কিছুর মতো সেওতো নিতান্তই নশ্বর,
আর তাই, বিলীন হয়ে যাবে অবিনশ্বরের পদতলে।