উপড়ে ফেলো তাদের মূল
গোশাইস্থলের পূর্বপাশে –
সৈয়দপুর, সুতার মুড়ার উত্তরে, ঘাগুটিয়া-
দৌলতপুরের দক্ষিণে সিনাই নদীর তীর ঘেঁষে
বিস্তৃত এক ঝিল, মোদের মনোহরী পদ্মবিল।
প্রকৃতি প্রেমী আসে, পদ্মবিলে ভাসে –
দক্ষিণা সমীরণে দোলে পদ্মের শির
পদ্মের প্রেমে পড়ে বিদ্রোহী বীর।
বুকের অলিন্দের ব্যাথা তাড়িয়ে
প্রেমীরা যায় পদ্মের বুকে হারিয়ে।
দ্যাখতে মানুষের মতো মানুষ হয়নি তারা
পদ্মের কলিজায় কুঠারাঘাত করে যাঁরা।
নীরবে নিভৃতে কাঁদে হৃদয় –
কবে হবে বিবেকের উদয়?
দানবের কাছে মানছে পরাজয়
প্রতিবাদীরা আজ ছেড়েছে লোকালয়।
হায় পূজারী –
শুনেছো কি কভু পদ্মের আহাজারি?
ক্যামন পূজারী তুমি? বিনাশ করছো প্রকৃতি।
শুনোনি তুমি সেই অমিয় বাণী?
“বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”
ক্যানো নিচ্ছো পুরো বিল উজাড় করে?
ওঁরা কারা?
কোন জঙ্গলের দানব ওঁরা?
ছিঁড়তে দ্যাখো যদি,দ্যাখো যদি ভাঙতে পদ্মের শির
উজাড় করতে মনোহরী বিল –
বুকের পাঁজরে সজোরে মারো একখানা কিল।
পদ্মফুলের পাপড়িতে হারায় কবি
খুঁজে পায় প্রিয়ার মুখ,বিরহিণী ভুলে বিরহী দুখ
প্রকৃতি প্রেমী খুঁজে পায় সুখ, চিত্তানন্দ।
ওরে-ও তরুণের দল
হারিয়ে ফেললি বুকের বল –
রুখে দাঁড়া, রুখে দাঁড়া প্রকৃতি নাশকারীর বিরুদ্ধে
যাঁরা তুলতে আসবে পদ্ম বিলের পদ্মফুল
উপড়ে ফেলো তাদের মূল।
০২/০৬/২০২২ সৌদি আরব