কবির’ মুক্তি
একটু বাতাস জমিয়েছিল পাখি,
অনেকটা শিস ধানের শীষে ধরে,
ধার করা কার সইলো কবে বলো –
হারিয়ে গেল কাল বিকেলের ঝড়ে –
তানপুরাটার আধখানা তার ছেঁড়া,
সুরধুনীর সুর যে কোথায় রাখি,
আকাশ থেকে পড়লো খসে যেই,
ঠোঁটের ডগায় ধরল বোকা পাখি।
পরশু ছিল আকাশপুরের মেলা,
বৃষ্টি ছাপা খেয়াল ক্ষ্যাপা ঝড়,
বাপ মা হারা পাগলপারা ছেলে,
কাঁদছিল যে, নাম তার ঈশ্বর !
বোকা পাখির দায় চড়েছে তাই,
দুঃখী ছেলেয় গান শোনাতে রাজি-
মাটি হাজির রংবেরংয়ের ফুলে,
বুড়ো পাহাড় ধরল সবুজ সাজি।
গান শুনে যেই ফুটলো হাসি মুখে,
রাখলো বাঁধা, সাগর ছিল বাঁয়ে,
আকাশ কিন্তু কেবল কালো সাদা,
রঙ যত সব লাগলো ফুলের গায়ে।
বোকা পাখি ডানায় মাখে রঙ,
আঁকল সুরে তানপুরাটার ছবি,
পাগলা ছেলের ঠোঁটের কোণে হাসি,
ছুটলো বাতাস মুক্তি পেল কবি