করুনার সাগর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
শূন্য মনে হয়,
শেষবেলায় এসে,
ভরা কি হল,
চেয়েছিলাম যা মনে।
অপার বিস্ময়,
জেগেছিল একদিন,
আকাশের নক্ষত্র,
জেনেছিল সব।
এতটুকু প্রাণ,
সেও স্থান পেয়েছে,
এত বিস্তৃত,
জগৎ চরাচরে।
জানি সে বিস্ময়,
এখনও আছে লেগে,
আগলে সে রাখল,
এত কাল ধরে।
নক্ষত্র ধীরে, ধীরে,
জায়গা’তো দিয়েছে
নক্ষত্র আমাকে,
চিনে যে নিয়েছে।
জানি, প্রথম বিস্ময়,
লেগেছিল মনে।
তারই ছোঁয়ায়,
বেড়ে সে উঠেছে।
জায়গা হক তবে,
সীমানা বহুদূর,
নক্ষত্রের সাথে,
দূরত্ব ঘুচুক।
এতটুকু প্রাণ,
সঙ্গে থাক বিশালে,
চিরদিন আর,
বিস্ময়ের জাগরনে।
এরপর একদিন,
এ স্থান ছেড়ে যাব,
এই স্থান, যেখানে,
অস্থিত্ত্বের ভরপুর।
জন্মের মূহুর্তে
হাতের মুঠোয়।
ছাড়াতে না পারে,
এতকাল দৃঢ় বন্ধন।
ক্রমশঃ আলগা হয়,
সেই মুঠোখানা,
কি করে হয় যেন,
দুটো হাত খোলা।
আর একবার,
ডাকি নক্ষত্রকে,
আয়! আয়,
দেখে যা আমাকে।
অপার বিস্ময়,
নেই তবে চোখে,
করুনার সাগর,
ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।