কার্তিকের সকাল
ঝর ঝরে ধান ক্ষেতে শির শিরে বাও
আপন খেয়ালে করে থেমে থেমে ফের ছুটোছুটি,
শালিকের ঠোঁট থেকে ঝরে পড়া রোদ
ফড়িঙের ছানা খুঁজে কাঁচা ধানে খেয়ে লুটোপুটি।
শানিত ক্ষুধায় জাগা কুহেলীর আড়ে
বকের ভাবনা ’পুঁটি নয়তো সে’ ফাঁদুয়ার ছল!’
তবুও ভাঙে না আহা বোয়ালের ঘুম
শুনেও নাড়ার পাশে খলশের ঝড়ো কোলাহল।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর গলা ছেড়ে ডেকে
তৃষ্ণার্ত হাঁসের দল সবে পেয়ে ঘর থেকে ছাড়া,
বারে বারে জল খেয়ে খুশিতে সাজায়
তন্দ্রালু মাছরাঙার সাবধানী রাগত ইশারা।
সজনের ডালে শুনে দোয়েলের শিস
’আজো কি করেনি বের!’ ফিঙেটাই ভাবে
খেজুর রসের হাঁড়ি,
মাটির সুবাস পেয়ে মহানন্দে ঘুরে
ইঁদুরের লোভে বুঝি বিড়ালটা চষে বাড়ি বাড়ি।