গুরুত্ব যখন প্রতিপত্তিতে
যন্ত্রণায় বেড়ে ওঠা এই আমি,
একদিনের জন্য ও শান্তি পায়নি।
নিজেকে নিয়ে ভাবার চিন্তা কোনোদিন আসেনি,
অগণিত অপমান,অসম্মান আর অবহেলায় জড়ানো ভ্রূণের বেড়ে ওঠা,
তার শিকড়ে ,মাটির নিচে লুকানো অগণিত কষ্টের ব্যর্থতার উপ শিকড়,
দুশ্চিন্তার আর কর্তব্যের ক্লোরোফিলে কোনো দিন ও ভালো থাকা বা ভালোবাসার উদগীরণ হয়নি।
সূর্যের অফুরন্ত আলোয়,আবদারে ভেসে যাওয়া হয়নি।
অতি প্রয়োজনে সূর্য ও দেখিয়েছে তার মৌন চাহনি,
এই বিশাল আকাশ কে যদি কখনো সাক্ষী রাখতে চেয়েছি,সেও মুখ ফিরিয়ে হয়েছে গোমড়া মুখো,
সত্যের মুখোমুখী হতে না চেয়ে অঝোরে বৃষ্টি ঝরিয়ে করেছে প্রমাণ লোপাট,
আমাকে আবারো করেছে নিঃস্ব।
সেই আকাশ,যাকে তোমরা উদার ভাবো,
যার এক বুক বিশাল দুঃখ শুষে নেওয়ার ক্ষমতা আছে,সেও ফিরিয়ে দিয়েছে আমায়।
আমি নারী বলে কোনোদিন নিজেকে দুর্বল ভাবিনি।
পুরুষের সমকক্ষে প্রতি পদক্ষেপে পা মিলিয়েছে, কাউকে ভরসা করার বিশ্বাস পায়নি কোনোদিন।
নিজেকে অসহায় তকমা দিই নি কোনোদিন,
কঠিন বজ্রের ন্যায় একলা পাড় করেছি অসংখ্য পরিস্থিতি,
তবুও পা টলমল করেনি।
আজ ও আমাদের সমাজ মেয়েদের বুদ্ধিমত্তা আর শিক্ষিতা দের মেনে নিতে অপ্রস্তুত,তাই যুক্তির দেওয়াল তুললে তাকে আখ্যা দেওয়া হবে মুখরা,বা তর্কবাগীশ।
প্রতিবাদী মেয়েরা হার মানতে চায়না,আত্মসম্মান দেখায়,তাই একসাথে লক্ষ্মী আর সরস্বতী হওয়া হয়ে ওঠে না।
একই সাথে কালো গায়ের রঙের বউ এর খুঁত ধরে, আর মা কালীর পুজো মন দিয়ে নিষ্ঠা ভরে করতে জানে আমাদের সমাজ,
ভীষ্মের ন্যায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, জড়ের ন্যায় পাষাণ হৃদয়,
যাতে রক্ত মাংসের বদলে বরফের পাথরের অভিমান জমেছিল,বছরের পর বছর,
আশা ছিল কোনোদিন হয়তো কোনো উষ্ণতায় ছোঁয়ায় সেই বরফের অভিমান গলবে,
কিন্তু পাথর কি গলে?
পাষাণ যদি জলে ভাসতে পারে,
তেমনি করেই না হয়..
থাক
এসব শুনতে ভালো লাগা কল্পকথায়,
বাস্তবটা সোনার পাথর বাটি।
ভগবান আরো সহ্য দাও,আরো ধৈর্য দাও,আরো শক্তি দাও।।
প্রতিপক্ষ কে দিও আরো অবহেলা,অপমানের নিত্য নতুন কৌশল আর ক্ষমতা,
যেদিন ধূপের ধোঁয়ায় নিথর শরীরের অস্তিত্ব বিলীন হবে,সেদিন যেনো তাদের নিশ্বাসের অক্সিজেনে ধূপের গন্ধ মিশে,দম আটকে আসে,
নাহয় এভাবেই অক্সিজেন পেয়েও তাদের নিশ্বাসে কম পরে,
তারা যেন অন্তত সেই দিন বোঝে অক্সিজেন সামনে থেকেও নিশ্বাস না নিতে পারার দম বন্ধের কষ্টের অনুভূতি টা।
বুঝতে পারে প্রতিপত্তি দিয়ে অক্সিজেন কেনা গেলেও নিঃশ্বাস কে অবহেলা করতে নেই।