তুমি ছাড়া, কে আছে?
কি রত্ন, নিলে গায়ে,
ছাড়িবে নিশ্চিয়,
সর্ব অঙ্গে প্রাণে বাজে,
কৃষ্ণ, কৃষ্ণ রব।
ছাড়িতে চাইনা আমি,
তবু কি’যে করে,
বারে, বারে যাই আমি,
তোমাতে যেন মিশে।
কি করে যে, হয় শ্যাম,
এ সর্বনাশা,
কতবার এ মন হল,
পরানে তোমার বাঁধা।
বেঁধেছো, যে প্রেমে তুমি,
সে যে, পরমধন,
বুঝি না’তো, তাকে আমি,
তুমি ছাড়া পর।
পরকে আপন করে,
জ্বালা হল, কত!
দূরে থেকে, কি করে যে,
সহ্য কর, এত।
যতবার ভাবি, আমি,
এ প্রেম-হার নিয়ে,
কি সাজে, সাজলাম আমি,
দেখবে না’তো সে’যে।
তাই বলি প্রাণনাথ,
বিধান দাও, আমাকে,
কোন রত্ন ধারন করব,
এ জ্বালা, মেটাতে।
তখন যদি, তুমি আর,
দেখা না দিও তবে,
মনের কষ্ট হারাবে যখন,
কৃষ্ণকে, রত্ন মনে করে।
তখন তুমি বুঝবে শ্যাম,
নিকট, কে তোমার?
ভালো লাগে কি, এত প্রেম,
না পেলে, তোমায়।
এত আলো, এত সুন্দর,
সব সাজানো হল,
সব যে তোমার দান,
তোমারি রূপের অংশ।
তবু যে অভাব হল,
সেকি, বোঝনা?
এ রূপের ভাগীদার,
আমাকে চিনলে না।
এত রূপে চোখ অন্ধ,
জেনেছি যে তাকে,
সে গর্ব, অহঙ্কার,
তুমি ছাড়া কে আছে?