তোমাকে লিখতে চেয়েছি
সন্ধ্যে নামার ঠিক বারো হাত দূরে বসে
তোমাকে লিখতে বসেছি!
কাজল কালো আঁখি, জলরঙা শাড়িতে
অপরূপা হয়ে উঠা তোমাকে
সাজাতে চেয়েছি পংক্তিতে, স্তবকে।
হালকা হাওয়ার তালে, জ্যোৎস্না ভরা রাতে,
তোমার রূপলাবণ্যে হারাতে চেয়েছি।
বাতায়ন খুলে দিয়েছি তোমার উষ্ণ অভ্যর্থনায়!
গালগপ্পোর আসরে সাজিয়েছি মনবিমারের নাটক,
পাড়ায় পাড়ায় রটিয়ে দিয়েছি অসংলগ্ন মহামারীর খবর।
তোমায় নিয়ে একলা পথিক হতে চেয়েছি।
প্রতিটি শ্রুতিতে তোমার অবয়ব
মঞ্চায়ন করতে চেয়েছি নিজের ভোল ছেড়ে।
ভ্রূকুটির নাচন মঞ্চে লাল মেঘের ধূসর নিমন্ত্রণ
ফিরিয়ে দিয়েছি তোমার গল্পের ছুঁত ধরে।
তোমার মাধুকরী স্পর্শে বিলীন হতে গিয়ে
অব্যক্ত বাসনার মুক্তপথে হেঁটেছি খানিক।
পথক্লান্তি ভুলে ছায়ার সাথে
তোমাকে নিয়ে গল্পে মেতেছি।
কোনো অবেলার স্মৃতিতে
তোমাকে একেঁছি রূপকথার রাণীর আদলে।
পিছিয়ে পড়া উপন্যাসে শুধু তুমিতে
আকৃষ্ট পাঠকের হৃদয় মাড়িয়েছি অস্পষ্ট কালিতে।
সেদিন বলবার মতো ‘তুমি’ শব্দকে রঙ মাখিয়ে
লিখেছি কালপুরাণের মহাকাব্য!
শেষ খণ্ডে কলমের আঁচড় আর ভেজা কাঠের কাগজ,
একে একে নিঃশেষ করে শুধু তোমায় লিখতে চেয়েছি।
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest