তোমার চোখের লোনা জল
একমাত্র তোমার চোখের লোনা জল
আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্তর স্পর্শ করে সহজেই
এই হৃদয় কেবল তোমার তরে কুরবান হতে পারে
তোমাকেই শুধুমাত্র তোমাকেই ভালোবাসতে জানে
মাঝেমধ্যে জীবনের হিসাবটা মিলাতে বসি —
গোধূলির পর থেকে কাক ডাকা স্নিগ্ধ ভোর পর্যন্ত
কয়েক প্যাকেট গোল্ডলিফ সিগারেট শেষ হ’য়ে —
পিথাগোরাসের গানিতিক সুত্র অকেজো হয়ে যায়।
গভীর রাতে আকাশ পানে তাকিয়ে যখন ভাবি
কি পেলাম এই জীবনে, কি হারালাম জীবন থেকে
আর কি অবশিষ্ট আছে জীবনের অন্তীম সায়াহ্নে
যোগ-বিয়োগ, শুণ-ভাগের ফলাফলে গড়মিল পাই।
জীবনের ধাপগুলোতে কখনো মুরগের মতো বাঁকিয়ে চলেছি
আবার কখনো ডিমে ওম দেয়া মুরগির মতো ঝিমিয়েছি
হিসাব মিলাতে পারছি না কি হারিয়ে, কি পেয়েছি
কিসের মোহে আজ-ও জীবিত রয়েছি।
একমাত্র তোমার ডাহুকীর মতো চোখের অশ্রুধারা
ভাঙতে পারে মম হৃদয়ের শক্ত বাঁধ
তোমার চোখের জল ছাড়া বাকিসব দাঁড়কাক
হৃদয়ে নামিয়ে দেয় ঢল-তোমার চোখের জল।
আমি এখন রাস্তার পাগলীটার মতো —
যে কিনা আঘাত পেয়ে আজ ভবঘুরে-পাগলী–
বিরহের গান গেয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যায় —
জীবনানন্দের কবিতার পঙক্তি ব’লে বেড়ায়।
২৬/১০/২০২২ইং, সৌদি আরব