নক্ষত্রের সন্তান
আমার কবিতারা আমার বন্ধু!
নক্ষত্র, ধুলিমেঘ, আকাশ আমার বন্ধু!
আকাশের তারারা আমার বন্ধু,
গাঙচিল আমার বন্ধু,
মৃগ, মৃগেন্দ্র, শাখামৃগ আমার বন্ধু!
মানুষের রূপে আমার কোনো বন্ধু নেই!
আলোকবর্ষ দূরের আমার তারাবন্ধুরা জ্বলে উঠে আমার খোঁজে!
আমি চেয়ে দেখি আকাশের পানে, বিস্ময় মিশ্রিত ভালোবাসায়!
আমার গাঙচিল প্রখর রৌদ্রে উড়ে চলে যায়, আমি তাকিয়ে দেখি।
দূরের নীল নক্ষত্রের গায়ে, আমি নিজের নাম কল্পনা করি।
কই? আমি তো ঝলসে যাই না তাও!
আমি নীহারিকাকেও বন্ধু করেছি, ধুমকেতুকেও!
দেরিতে হলেও তারা আসবে একদিন।
তারা অপেক্ষায় রাখলেও উপেক্ষা করে না!
মানুষের রূপে আমার কোনো বন্ধু নেই।
মানুষের সন্তানেরা নক্ষত্রের সীমাবদ্ধতা খোঁজে,
নক্ষত্রের গায়ে কলঙ্ক খোঁজে।
নক্ষত্রের আলোক তাদের সহ্য হয় না!
তারা অন্ধকারকে প্রজ্জ্বলিত করে আলোর মিছিলে!
মানব সন্তানের সীমাবদ্ধতা আছে।
সে বঞ্চনা করে, আমি তো বঞ্চনা সইতে পারি না!
সে দুঃখ দেয়, আঘাত দেয়, আমি তার ভার বইতে পারি না!
মানুষের রূপে আমার কোনো বন্ধু নেই!
মানুষের সন্তানেরা আমাকে বন্ধু বানায় না!
তারা বোধহয় মনে করে আমি মানুষ নই,
আমার ভিতরে অন্য কোনো প্রাণ!
তাদের তরে আমার সহজ স্বীকারোক্তি—
আমি মানুষের রূপে নক্ষত্রের সন্তান!