নিলি
চোখের দু’ফোঁটা জল মুছতে গিয়ে, মনে হয়,
মুছে ফেললাম নিজেকে, পান করলাম হলাহল,
ওই চোখের নীলে, ডুবেছি অনেক আগেই ,
দেখ নীলিমা তোমার ওই দুটি চোখের মত নীল হয়ে যাচ্ছে গোটা শরীর,
ওই যে, নীলকন্ঠ, আমাকে ডাকছেন কৈলাসে
এই মত্তে যা করতে সাহস হয়নি কারো,
আমি করে ফেলেছি অনায়াসে,
সামান্য মানুষ হয়ে তার নেমন্তন্ন,
অবজ্ঞা করবো সেই সাহস বা সাধ্য আর আমার আছে?
তুমি এখানেই থেকো বুঝলে ,
আমি শুধু দেখা করেই রওয়ানা দিবো,
তার তো স্ত্রী সন্তান আছে,
আমার শুধু তুমি ছাড়া আর কেউ কি আছে?
কি সব আজেবাজে বকে সময়ের মাথাটা খাচ্ছি,
দেরি করলে কি চলে?
জীবনে অমন সুযোগ কি বার বার আসে,
যেমন এক অপরহ্ণে, নীলকন্ঠের কৃপায় দেখা পেয়েছিলাম তোমার,
এই নীল আসমানের নিচে, ঠিক, ঐ জলাধারটার পাশে,
ঠিক না , জানি, তবু একটা জনিস চাইতে খুব ইচ্ছে করছে – নিলি
চিরজীবনের বন্ধু হবে?
নিলি জানো, কেনো জানি আজ, এই রাগ গোসা ভর করা মুখে,
হাসতে খুব ইচ্ছে করছে,
আর একটা কথা মনে পড়লেই হাসি পায় জানো?- হাসলে নাকি আবার আয়ু – টায়ু বাড়ে,
এত বকে আর কি লাভ,
কাজের কথায় আসি,
এই যাবো আর আসবো,
এই সর্গে বা মত্তে আর আমার টিকিটাও ধরার সাধ্য আছে কারো?
স্বয়ং নীলকন্ঠ আছেন আমার সাথে কোথাকার কে ওই যমরাজ, আমাকে,এই আমাকে নিয়ে যাবে তার সাথে.!
আসলেই খুব হাস্যকর ব্যাপার তাইনা?
হাসতে ,হাসতে দম বন্ধ হয়ে আসছে, কেনো জানি শরীর,বুক,গলা,ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে ।
দেখ
স্বয়ং নীলকন্ঠ ও হাসছেন
হাসছেন গণেশোজননি ও
আর আমি হাসলেই দোষ?…………………