নীল বাংলার সামনাসামনি
মরতে মরতে বেঁচে আসলাম আমি
ফিরে এসে দেখলাম
সেই মৃত্যুর উপত্যকায় দাঁড়িয়ে আছি।
যেমন করিয়া সাহারা মরুভূমির বুকে
জন্ম নেবে হাজারো গাছ
ঠিক তেমনি করিয়া নীল বাংলা
হয়তো একদিন ঢেকে যাবে আবচ্ছায়ার চাদরে।
আকাশের ভিতর থেকে আকাশ
যেন্ ঝরিয়া যাবে হেমন্তের ঝরা ফুলের মতো;-
মরতে মরতে বেঁচে আসলাম আমি
ফিরে এসে দেখলাম
হয়তো আমার হাতেই খুন হয়েছে সোনার পাখি।
যেমন করিয়া শহর বেড়ে উঠিবে
ঠিক তেমনি করিয়া খসিয়া যাবে
নিস্তব্ধতায় তারা ঝলসানোর মতো।
হয়তো একদিন নীল বাংলা
জীবনানন্দের বনলতা সেন কে
রূপসী বাংলার বুক থেকে ছিনিয়ে আনবে
আর ছিনিয়ে আনবে নীহারিকার পতনের ছবি।
নীল বাংলার সামনাসামনি
পরেছি যখন ঝরা পাতার মতন
আমি জন্ম নেবো আবারও
প্রান্তরের প্রহরীর মতো।
“তারপর”
–ঠিক তারপর
মানুষে মানুষে রেষারেষি
হয়তো যুদ্ধের মানচিত্র ফুটিয়া উঠিবে
আমার হাতের রেখার প্রাচীরে।
আমি দূরে যাবো;যাবো বহুদূরে
ঠিক তখনি স্টে্নগানের বুলেটে
ক্ষতবিক্ষত করিয়া দেবে আমার দেশের মানচিত্র।
-মৃত্যুর ভিতর থেকে জাগিয়া উঠিবো
যে দেনা ছিল আমার অতীতে
সেই দেনা দেবো চুকিয়ে।
“তারপর”
–ঠিক তারপর সমস্ত রাত্রি
ঝরিয়া যাবো নীরবে।
ঝরিয়া যাবো নীল বাংলার প্রান্তরে।।