প্রাক্তনের পিছু ডাক
হ্যালো, হ্যালো,
জ্বি, বলুন,
শুনতে পাচ্ছো?
পাচ্ছি তো,
কেমন আছো?
ভালো আছি, কে বলছেন প্লিস!
আমি ইয়ে, না মানে তোমার প্রাক্তন….. না থাক।
থাকবে কেন? আপনার কণ্ঠ বলছে কিছু বলতে চাচ্ছেন।
তুমি কী কণ্ঠভাষা পড়তে পারো?
হয়তো বা কিছুটা…..
তবে তো বুঝতেই পাচ্ছো আমি কে?
না আমি বুঝতে চাই না।
কেন?
সব প্রশ্নের জবাব মেলে না।
তুমি কী আমাকে একেবারেই ভুলে গেছো?
ইদানিং আমি নিজেকেও বেমালুম ভুলে যাই!
কেন? ভীষন ব্যস্ত নাকি?
হ্যাঁ কিছুটা, সেই কতকাল নিজেকে ভালোবাসা হয় না তাই…
তুমি কী এখনও কবিতা লিখো?
লিখতে চেষ্টা করি, কেন বলুন তো?
জীবনানন্দের বনলতা সেন কবিতাটি কখনও পড়েছো?
না, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ পড়েছি।
কবিতাটি কেমন?
আপনি যেমন!
আমাকে তোমার স্বরচিত কবিতার দু’টি পঙ্ক্তি শোনাবে?
শুনবে নাকি!
হ্যাঁ, ইচ্ছে করে।
তাহলে শুনুন,
‘বেদনার মহাসমুদ্র সৈকতে
আমার জীবন এ যেন অবহেলিত পাথরের নুড়ি
দূরন্ত ঢেউয়ে কখনও অস্থির আবার কখনও স্থির’
কবিতাটি খুব ভালো লাগলো,
হ্যাঁ, সৃষ্টির অপরূপ সৌন্দর্য সবাই ভালোবাসে—স্রষ্টকে নয়।
হ্যালো, হ্যালো, সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো?
অপর প্রান্তে শুধু অন্তহীন মৃতময় শশ্মানের নিস্তব্ধতা।