ভেলা
দুঃখ কুড়াই, অনল ভেলাতে বাসি, ভাবি–
কাদি, পুড়ি, জ্বলি, ছারখার হই বইকি!
আলো খুঁজি বলে কালো ভুলিনি
স্বপ্ন ধিক্কার জানায়, বুঝে অক্ষমতার ঢেউ।
মোরে দাও ক্ষুধা বোঝাও সুধা দেখাও পথ
দাও চিত্ত নাও বিত্ত- পাওয়ায় ধ্যান গম্ভীর করো।
চমকে উঠে মোর গগন, পাইয়া তাহার সান্নিধ্য
চিত্ত ছিটকে পড়িয়া যায় চরণপানে, ঠেকাইও মোর আরাধনা।
পাল তুলি অজানা কাব্যের উপসংহারে
পাড়ি জমাই অনর্গল অতলে, যেথা
সুধা আসে, ছুতা খুঁজে— কান্নায় নিমজ্জিত রই।
হাল ধরে প্রাণপণে খাতায় জমছে বাকী
কেও কি বুঝলো জীবনটাই মস্ত ফাঁকি?
উপকূল সংলগ্ন স্নানঘরও বিষন্ন বিকারগস্ত
পাবো না জানি সাড়া তবু ভেলা ভিড়াই, করি ইতস্তত।
ভেলার বাহুডোরে বেদনাসিক্ত ম্লান গোলাপ পাপড়ি
হাওয়ায় ভাসাচ্ছে উষ্ণ তাপ, শেষ তবে রইলো বাকী।