।। নির্বান ।।
হরষ-তরষ-সরস রঙ্গে ,
জীবন গড়ার বাতি,
কাটে নিশী দিন প্রভাত সঙ্গে,
প্রত্যয় শেষে রাতি,
শান্ত মধুর তরুর ছন্দে,
রহিছে সে যে হাজারো ধন্দ্বে,
মিশায়ে রহে ভালো ও মন্দে,
দিপ্তী পূর্ণ জাতি।
নিশীথ মেলায় বর্ণ সরূপ,
তৃণ সম দল-রাজি,
বিঘ্নিত হয় বিশ্ব-ভূ-রূপ,
মন্ত্রপূতে মজি,
হৃদয় জুড়ে মিথ্যা তরাশ,
কলম সভায় জাতি-জাল-পাশ,
ছিড়ে ফেলি সব নভ নাগপাশ,
নূতন কিরণ আজি?
দিয়েছো মিশায়ে মিথ্যার ডালা,
নিকোটিন ঘড়া ছড়িয়া,
দিয়েছো সাজায়ে অস্ত্র মালা,
বর্ণ-বিভেদ করিয়া,pppp
পাঠশালা জুড়ে শুধু পলায়ন,
তুলিয়া অস্ত্র লাগি মহারণ,
আবাল-বৃদ্ধ করে ক্রন্দন,
মৃত্যু স্রোতে ভাসিয়া।
আপনে মাগিছে টুপি-আস্তিন,
থরে-থরে সাজা মেঘে,
পড়ে আছে কত মহা-হীন-দিন,
আগ সম রণ রেগে,
পূর্ণ হবে কত কারাগার,
শূন্য হবে অস্ত্র ভাঁড়ার,
জগৎ-ব্যাপ্ত কাটিয়া আঁধার,
আলো সম দ্রুত বেগে।
প্রানো-চ্ছ্বল সঘন হাস্য মুখে,
জানাবে তখন বিদায়,
শিহরিত চোখ কিঞ্চিত ঢেকে,
আসিবে জন-সভায়,
বলিবে তখনি আমি সম-ভুল,
চাইছি ক্ষমা হৃদয় আকুল,
করেছি ক্ষতি অনন্ত-বিপুল,
করো ক্ষমা মোরে মেলায়।
কি মহালগনে মরন খেলায়,
তরঙ্গ তার টুটিছে,
অন্তিম দোলার দলিত সভায়,
সবে মিলি আজ ছুটিছে,
ভেঙে ফেলে সব মহা-নাগপাশ,
বর্ণ- বিভেদ-জাতি-জাল-পাশ,
ভুলিয়া সবাই হিংসার শ্বাস,
প্রভাত কিরণে ফুটিছে।
ফেলে দিয়ে সব টুপি আস্তিন,
নব চুল্লির যন্ত্রে,
প্রভাত-কিরণ-অরুণ-সুদিন,
আসুক হীরক তন্ত্রে,
রয়েছে যা কিছু পাষান সমান,
ভেঙে ফেলি সব জগৎ পুরান,
গড়ে তুলি ঐ নব-নির্বান,
জগৎ ব্যাপ্ত মন্ত্রে।
হরষ-তরষ-সরস রঙ্গে,
জীবন গড়ার মন্ত্রি,
কাটে নিশী দিন প্রভাত সঙ্গে,
প্রত্যয় শেষে রাত্রি,
শান্ত মধুর তরুর ছন্দে,
রহিছে সে যে হাজারো ধন্দ্বে,
মিশায়ে রহে ভালো ও মন্দে,
নব আগন্তুক যাত্রী।