।। বিম্ববতী ।।
।। বিম্ববতী ।।
মেঠো ঐ গ্রাম্য পথে,
কলষ খানি ধরিয়া,
যাইতেছে কূলবধু,
ঘোমটা দিয়ে ঢাকিয়া।
কলতান সাথে কুলু-কুল সুর,
শুনি যে শুধুই অম্ল-মধুর,
গ্রামের ঐ পথে,
গলায় সোনার হার,
একরাশ কেশ তার,
কোমর খানি ঢাকে।
নাম তার বিম্ববতী।।
কোমল পরশ তার, অতিশয় অতি,
উন্মিলিত নেত্র খানি, মাধুরী দিয়া মিশা,
পূর্ণ দীপ্তি যেন দিয়ে গেল দিশা।
নাম তার বিম্ববতী।
কনক-অঞ্চল খানি টুকটুকে লাল,
নূপুর ছন্দে গৃহ সাজাইল ,
নাক-ফুল কান-ফুল গজমতি হার,
কিঙ্কিনী সুরে যেন মন মাতাইলো।
নাম তার বিম্ববতী।
সুরেলা কণ্ঠ তার অতিশয় অতি,
টানা টানা আঁখি কাজলা কালো চোখে,
একখানি টিপ যেন মলিনতা ঢাকে।
নাম তার বিম্ববতী।
পলাশ কাননে ফোটে রজুগন্ধা হার,
শাড়ি পড়া কনক-বিছা-বাজু র সম্ভার,
জুমুলি হজ ফুল খাড়ু আর টেঙ্গা ছড়া,
নূপুর ছন্দে গৃহ ভরাইলো-
নাম তার বিম্ববতী।
কমল নয়ন তার অপলক অতি-
রূপের মাধুরী যেন আলোকিত দিশা,
কোমল পরশ তার নিপীড়িত অতি-
ছন্দ পূর্ণ পূর্ণাঙ্গ তালিকা,
তুলে রেখো-
বেঁধে থেকো-
নও তুমি আবেগী কনকা-
তুমি বিম্ববতী !
আঁখ ভরে উপনিত তোমার কবিতা-
শেষ হয়েও হইলো না শেষ,
টানেনি যবনিকা-
তুমি ই বিম্ববতী।
লিখে রেখো…. আঁখিপাতে-
বিদীর্ণ হিয়া কাঁদিতেছে ফিরে-
জন রোষে জন পথে-
তোমার ই মতন।
দেখে শেখো…. উপনিত-
রূপ ছটা আকাশে মিলিত-
কে বা যায় কে বা আসে-
বিকৃত আকাশে দুর্লভ ভাসে-
লিখিত রতন।
তুমি ই বিম্ববতী…!
আবেগী নয়…..ডানা মেলো-
বৈরাগী নয়…….রূপকথা তোলো-
পরশে পরশে ধ্বনিত হোক-
রূপকথা সম নিজ গাথা,
লিখিত নয়..….পূর্ণ হোক-
তালিকা ও বদল আনুক-
ফুল্ল-কুসুমিত শুভ্র মিশুক-
রচিত হোক বিম্ব-কথা।
বিম্ববতী..….. তুমি ই বিম্ববতী ।।