অন্ধকার হিমঘরে প্রায় আঠারো যুগ
অন্ধকার হিমঘরে প্রায় আঠারো যুগ
বান্দা হাফিজ
অন্ধকার হিমঘরে প্রায় আঠারোটি যুগ
একটি লাশের সমূহসময় কেটে গেছে
সূর্য ছিলো না সে সময়—
তবু তাপে গলে পড়া মোমের মতন
আমাদের সরলতা ছিলো।
সরল আমার প্রাচীনপুরুষ, কী উদার ছিলো তাঁর মন—
সেই সুযোগে সোনালি ফসল কেটে নিয়ে গেছে লুটেরার দল— কতশত বেজন্মা বজ্জাত;
ঘর থেকে ঘরে লক্ষ্ণীর বসবাস-
প্রপিতার বুক যেন সততার পবিত্র বিচরণ ভূমি—
এইসব সততার কথা জেনেছিলো সবে, জনে প্রতিজনে—
আমরা শুনেছি আকাশদূতের শুভ্রবসনও মলিন হয়েছে প্রপিতার মুখোমুখি হলে;
মোহনলাল ধরাশায়ী শুনেই,
নবাবের মুখে পড়া বিষাদের মেঘকালো ছায়ার মতন—
প্রাণোচ্ছল সূর্যটা লুটে নিয়ে ওরা, জ্বেলেছিলো ওদের আকাশে
আমরা মরেছি বিষধর পুষে দুধে—
আমরা বেঁচেছি কী ভয়াল অন্ধকারে
ঘনকুয়াশার বরফের শীতে আমরা কেঁপেছি ঠক্ ঠক্ …
তখন চেয়েছি এতটুকু তাপ; পেয়েছি অট্টহাসি
হলুদের গোলচাকা রঙিন কাগজ গোল গোল করে কেটে
কতবার দিয়ে গেছে সেঁটে আমাদের নরম আকাশে—
বাঙালি সরলমন খুশিতে মাতাল হই; দু’চোখ বন্ধ করে
হাঁটু গেড়ে বসি জোড়হাত বুকে, নিরেট মুক্তি মনে—
গেয়েছি কোরাস— হে অ্যাপোলো, আমাদের কালো করে আর
দিয়ো নাকো ছিঁড়ে এইটুকু সাধ, এ আলোয় ডুবে মরবার।