অবিনশ্বর নারী
রঙিন সুতো দিয়ে, সাদা জামাটাকে রিপু করে
সুনাগরিক হবার করুণ প্রচেষ্টা-
গেরুয়া বসনা ভিখিরি, কিইবা মনে করে পথে হাঁটে?
পথটাতো কোনদিনও তাকে আপন করেনি।
উদাসী বাউল, কোন সুর বাঁধে তার একতারায়
চন্দ্র-তারা-নক্ষত্র কি তার খবর রাখে?
তবুও সে ঘুঙুরের বোলে, পথের ধুলোগুলো মাতায়
আর কিছু না বুঝেই দু’পাঁচ জনে হাততালি দেয়।
নিশান্ত ঘিরে, রয়েছে জুড়ে সময়ের ধারাপাত
অবাক বিস্ময়ে চাইলো ভোরের আকাশ-
শিশিরে ভিজে, দূর্বাঘাস রোদের সাথে ছলনা করে
ঘাত-প্রতিঘাতে ম্রিয়মান হয় আকাঙ্খার নোলক।
চমকিত চরণে, বিরহিনী হাঁটে গোমতীর বিরান চরে
জেগে থাকা জোনাকিগুলো সাথী হয়-
একচিলতে চাঁদ, সাথে হাঁটে অভিন্ন চাহিদায়
এ যেন কোন এক অবিনশ্বর নারী।