আমি শিখে গিয়েছি
আমি রাস্তার পাশের অর্জুন গাছটি দ্যাখতে দ্যাখতে —
শিখে গিয়েছি কিভাবে ধৈর্য্য ধরতে হয়
কেউ আমাকে গালি দিলে আগের মতো আর হুট করে রক্ত গরম হয়না
রেগেমেগে খুব কষিয়ে কানের নীচে একখানা চড় বসিয়ে দেইনা
নীরবে হজম করে পথ চলি —-
তার প্রতিদান দিতে দু’হাত তুলে আরশের মালিকের কাছে ফরিয়াদ করি।
আমি কবি, ধুসর কবি —-
আঁকিবুঁকি লিখে গাধা-গাধা পান্ডুলিপি জমা করি
কখনো প্রেম-বিরহ, যাতনার কথা লিখি —
আবার কখনো স্বৈরাচারী নিপাতনের কথা বলি —
মজলুম আর মানবতার পক্ষে —
অত্যাচারীর বিপক্ষে কলম ক্ষুরধার করি।
আহত শঙ্খচিলকে দ্যাখে আমি শিখে গিয়েছি —
কিভাবে সারিয়ে তুলতে হয় ক্ষতস্থান —
ভাঙা ডানায় ভর দিয়ে কিভাবে উড়তে হয় —
আমি শিখে গিয়েছি হৃদয়ের ক্ষতস্থানে মলম মাখিয়ে কিভাবে বাঁচতে হয়।
আমি চিরকৃতজ্ঞ পরিবার– প্রতিবেশী এবং পাড়া-পড়শিদের কাছে
তাদের অবহেলা-অনাদর-সমালোচনা আমার কলম ক্ষুরধার করেছে
ঝুলিতে এনে দিয়েছে কবি-র খ্যাতি।
আমি শিখে গিয়েছি একলা একা পথচলা —
কারোর সাপোর্ট ছাড়াই এখন হেঁটে বহুদূর যেতে পারি
সমাজপতিদের ঘৃণা-ই আমার চলার পাথেয়।
১৩/১০/২০২২ইং,
বড়মুড়া, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া