আলোকের এই ঝর্ণাধারায়
নজর ফুটন্ত ভাতের হাঁড়িতে
প্রতিটা সময় নানা ধরনের কথা বলে অবিশ্রান্ত।
চোখ চেনে ,মন চেনে
আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও।
অনন্ত ধারার মতো কিছু একটা সময়ে
কুমারী থেকে বিবাহিত হয়ে ভাষা বদলালো না ।
সিঁদুরে ঢিল বেঁধে দশমীর বোধন
হাতের শাঁখাতে লুকোনো প্রহসন সামাজিকতা।
বুক জ্বলছে ,নিশ্বাসে আগুন বইছে
চাল বাছাই করা কুমারী হাতের মতো নিমন্ত্রণ।
বৃষ্টি পড়ছে, মন মাতাল প্রজাপতি আকাশের গায়ে গিয়ে বসলো।
পাগলটা হেসে উঠলো নিজের রসিকতাতে ,
ঘরেতে তোমার ম ম করছে ভাতের গন্ধ।
কোনো এক অপেক্ষমান নীরবতা
ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়
ঘোমটা ঢেকে অবিশ্রান্ত দর কষাকষি।
ধ্যান ভেঙে গেলে ঈশ্বরের শব্দ পড়ে নেয় সময় ,
তারপর ক্যামেরা চলছে,
ভাতের হাঁড়ির মাড় গড়িয়ে নামছে গভীর আগুনে ,
চোখে তখন লাগলো ধাঁধা ,হাত পুড়ে গেলো
আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও ॥