একটি নিত্যকার আষাঢ়ে গল্প !
মেয়েটি বলেছিলো
আকাশ জোড়া একটি রামধনু পেলে,
ভালোবাসা পাওয়া যেতে পারে
ছেলেটি তাই সারারাত জলবিন্দু জুড়ে জুড়ে
আকাশজোড়া একটি রামধনু আঁকলো
বেলা বাড়লে প্রখর রৌদ্রে আকাশ শুকোলে
রামধনুটি মরে গেলো,
মেয়েটি জানালো, খেলাটা জমেনি তাই
এবার তার এক আকাশ সাগর চাই!
প্রখর রৌদ্রের মাঝে গোটাদিন,
ছেলেটি আঁজলা ভরে সাগর সেঁচে আকাশ ভেজালো,
এবার মেয়েটি বললো,
ভেজা আকাশ যদিও বা ভালো লাগে,
শুকনো সাগরে তার কোনো প্রয়োজন নেই –
তাই তার এক্ষুনি এক সমুদ্র জল চাই,
নিরুপায় ছেলেটি তার হৃদয় নিংড়ে
ভরে দিল সাগরের খাত
ক’ফোঁটা ঘাম ও রক্ত মিশেছিল কিনা
কেউ তা দেখেনি!
মেয়েটি সমুদ্রের তীরে বসে হেসে উঠে বললো,
সমুদ্র বড়ো বেশি গজরায়, বড়ো বেশি ঢেউ তাতে,
তাছাড়া, বেলা পড়ে এলো, তাই
খেলা সাঙ্গ করতে হবে এবার –
শান্ত স্বরে ছেলেটি বললো, বেশ,
তবে তাই হোক।
সাথে সাথে
মৃত সাতরঙা রামধনু
বিষম রাগে আকাশ ফাটিয়ে
বিদ্যুৎ হয়ে গর্জে উঠে কাঁপালো চৌদিক,
আকাশের বুক ভেঙে
জলবিন্দুরা ঝরে পড়লো অবিরল!
সাগর ফুঁসে উঠে ভাসালো বেলাভূমি
সূর্য ডুবতে দেখে
ছেলেটি সাগরে নেমে
আরো কয়েকটি মুহূর্তের যাচনা করলো।
পরদিন মেয়েটি খেলতে এসে
ছেলেটিকে আর কোথাও খুঁজে পেলোনা
শূন্য শান্ত আকাশে আর কোনো রং নেই
খালি বিষন্ন সাগর নীল হয়ে
নোনাজলে ভরে রয়ে গেছে।