একদিন শুধু তোমাকে
একদিন শুধু তোমাকে
দূর সীমানার অভ্যন্তরে দেখেছিলাম
আকাশের অর্ধচন্দ্র জেগে জেগে।
বহু বছরের পর একটি গোলাপ
ফুটেছিল আবার আমার হৃদয়ের গভীরে।
শেষ হলো আবহকাল
নক্ষত্র রাত্রি জ্যোৎস্নার আলো
নিভে নিভে কাজল লতা পায়ের নুপুর।
আকাশে তারার মেলা
নীল খামের ভেতরে ভেতরে।
একদিন শুধু তোমাকে
শেষ বসন্তের হলুদ প্রহরে
প্রেমের শহর স্মৃতির চাদরে।
পাহাড়ি ঝর্ণার বুক থেকে খসে পড়ে
লক্ষ মানুষের রক্ত পিপাসার জল,
তারপর সমস্ত দিন ফুরিয়েছে
চেনা শহরের অচেনা মানুষের হৃদয়ে।
কবিতা গল্প উপন্যাসের পাতা
সবই বাড়ন্তের পথে পথে
নতুন জীবনের আবডালে।
তুমি এসেছিলে কোনো একদিন!
চোখের বিছানায় পালক সাজিয়ে।
স্তব্ধ করা সেই বেঞ্চের পায়া
আজও সেখানেই আছে,
সেখানে রাত্রি নামে
জোনাকিরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়
ঘাসের উপরে উপরে।
একদিন শুধু তোমাকে
হেমন্তের শিশির ভেজা সকালে
সোনালি রোদ্দুরে নেমে ছিলে
নীরব আলাপের পরিচয়ে।
এভাবেই কেটে গেল লক্ষ মানুষের হৃদয়
রক্ত ঝরলো হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে,
জীবন ক্ষ’য় হলো
তুমি দূরে গেলে প্রিয়তমা
আমাকে দূর কফিনে বন্দী করে।
সেখানে মৃত্যুর উপত্যকা
গায়ে বিরহের পোশাক জড়িয়ে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে জীবনের শেষ অধ্যায়ে।।