কবিতা আসলে
কবিতা আসলে এক নদী
তাতে ভাসিয়ে দিই আমার
সমস্ত বোবা সারিবদ্ধ ‘যদি’।
তাতে ভাসিয়ে দিই দ্বিধা,
আমার সব না ঘুমনো রাত
যাতে তারা বদলে প্রভাত
হয়ে ফিরে আসে আমার অবধি।
কবিতা আসলে স্রোত নিরর্থক
তাতে ভাসাই আমার সব সার্থক
আমার সব দৈনিক ওঠাপড়া
এবং যাবতীয় যত ভাঙাগড়া।
তারা স্রোতে হেসে ভেসে ভেসে
নতুন কথা হয়ে ফিরে আসে
আমার পুরনো কলমের মুখে।
কবিতা আসলে গাঢ় নদী এক
তাতে অনায়াসে ভাসিয়ে দিই
আমার যত রয়েছে ‘অনেক’,
তার জলজ আলোকে ভেসে
আমার সেই কবেকার অহং
কষ্টে উপার্জিত সমাজী ভড়ং
হেসে হেসে পৌঁছিয়ে যায়
দৃষ্টির অগম্য এক শেষমেশে।
কবিতা আসলে এক স্বচ্ছ প্রবাহ
তাতে ভাসিয়ে দিই সব সন্দেহ
যত আছে আর যত হবে পরে
তারপরে স্বচ্ছ সে বহমান জল
কখনো স্বতঃস্ফূর্ত ঢুকে পড়ে
আমার একান্ত সৃজনের ঘরে।
কবিতা আসলে জাদুভরা এক আয়না
মিথ্যার মুখ তাকে দেখানো যায় না
কবিতা আসলে আমার জনম পূর্ব
ভেবেছি সময় এলে তাকে খুঁড়ব
যাতে পেয়ে যাই এ জন্মের মণি।
কবিতা আসলে কিছু নয়, এক স্বচ্ছ
নদীর ততোধিক স্পষ্ট কলকল ধ্বনি।