খানিকক্ষণ
পৃথিবীর এমনও দিন, এমনও রাত
কত শতাব্দী পর আসে?
জীবন যখন অগ্রাহ্য করে সব দায়বোধ
মোচন হয়ে যায় জমে থাকা সব শব্দ
তখন পরস্পর মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়
মানুষ আর তার আজন্ম লালিত অবিনীত ছায়া।
কোথাও সাড়া নেই
কারো যেন কোনো তাড়া নেই
কেবল আলোকবর্ষ দূরে ফুটে থাকা তারারা
আরো বেশি জ্বলে উঠে, আরো বেশি মনোরম
যেন চাঁদের সাথে হয়েছে চুক্তি
ভাসিয়ে দিবে, টুটিয়ে দিবে মিলবে যে মুক্তি।
নিসংকচে একটি বার দাড়াই এসে
সে দুয়ারে যেখানে পদাঘাত করে
ছেড়েছি আমার সে ছায়া, মুড়িয়ে রাখা মায়া।
জোৎস্নার আলোয় আজ যখন
আবার হলো দেখা তখন
করি কি করে অবহেলা
আবার কবে পাই তার দেখা!
এভাবে একসাথে চুপচাপ বসে
শিশিরের শব্দ শুনতে পাব আর কবে
আবার কত শতাব্দী পরে?