ঘুম
যে ঘুম আসে না কভু চোখে
সেই রাত্রি হয় না তবু শেষ-
নিভে যাওয়া প্রদীপে
জ্বালাতে চাই আলো।
মৃত্যুর ভয় নেই ঘুমের
শতাব্দীর পাতা লালিত্য পায়
মেঘমুক্ত আকাশের গায়;
স্বপ্নেরা সব পিছু ডাকে
মিশরের পিরামিডের আশায়;-
ঘুমের দুয়ারে বিক্ষুব্ধ আত্মার মতো
খুলে যায় মমির মুখ গুলো:-
আমার চোখ ছিঁড়িয়া যায় শকুনের পালকের মতো,
শূন্য প্রান্তরের মৃত প্রাণীর কঙ্কালের মতো-
জন্মাবে কত অজানা ইতিহাস।
জীবনের স্বাদ মৃত্যু পায়
তবু নক্ষত্র ম’রে না কখনো!
শতাব্দী জেগে রয় ঘুম হয়ে
নিসর্গ জীবনের আবডালে।
আশ্চর্য পৃথিবীর পাহাড়ের গায়
ঝরে পড়ে রাতের নিভে যাওয়া তারাগুলো-
তারপর এখানে একদিন ঢের শতকে
ঘুমের সংকেতে মাথানাড়া দিয়ে ওঠে
অতীতের মৃত লাশ’গুলো।
যেথায় জীবনের হতেছে ক্ষ’য়
সেথায় ঘুমেরা রোজ যায়।
আমি চেয়ে দেখি জীবনে
স্বপ্নেরা হয়ে যায় লহমা।
মানুষে মানুষে মৃত্যুর যুদ্ধে
আমরা সবাই লবডঙ্কা।
সেদিন লালিমা রৌপ্যজয়ন্তী
রোশনাই রোশনি লিপ্ত হয়
নতুন এক মৃত্যুর লাশে।
সুরভি দিয়ে যায় বঞ্চনা-
ঘুমের দেশে বারে বারে।
আমার- ও একদিন হবে ক্ষ’য়
এখানে ঘুম, রাত্রি নেই ঘুমের
চেতনায় জাগ্রত হতে হতে
জীবন ঠেকে গেছে মরুভূমিতে;
তবুও ঘুম পাষাণ হয়ে
চোখকে নিয়ে যায় ঘুমের দেশে।
জানি আমি সান্ত্বনার রাতে
জেগে ওঠে আমার অতীতের লাশ’গুলো;
তারপর একদিন মৃত হয়ে
চলে যায় মৃত্যুর দেশে।
সেদিন ঘুম চলে আসে জীবনে
যে ঘুম এসে-ও পায়নি আমার রাত্রি
সেই ঘুম’ই আমাকে নিয়ে গেলো
একপলকে মৃত্যুর কারাগারে।