চেয়ে থাকুক, আজ এ সন্ধেতে।
ও মুখ কতবার মনে পড়ে যায়,
বর্ষা যে, আজ ঘন কালো মেঘে।
বিদ্যুৎ, দুটি চোখে চমকায়,
আঁখি, তার ও মেঘে আছে মিশে।
হারায়নিতো, আমার ভালোবাসাখানি,
কতবার, তাকে মনে পড়ে যায়,
একদিন, বাঁধা হবে মনদুটি,
স্থির বিশ্বাসটুকু রেখে যায়।
সহসা বাজ হেনে যায়, কড়কড়,
স্তম্ভিত হয়ে যাই সে আওয়াজে,
তার কথা কানে শুনি যেদিন,
তাকে যেতে হবে, দূরে, বহুদূরে।
কতদূর যেতে হবে শুনি,
এই বৃষ্টির সঙ্গীকে ছেড়ে, চিরতরে,
দেখবেনা, মেঘ যে ঘোর কৃষ্ণকলি,
জীবনানন্দের বনলতা সেন’কে ছেড়ে।
কতদূর যেতে হবে তোমাকে?
আমার দুটি হাত ছেড়ে দিয়ে,
এত ভালোবাসা পিছনে ফেলে,
একা কোথায়, কোন নির্জনে।
রিমঝিম আওয়াজ ভালো লাগেনা?
বৃষ্টি যে, আমাদের মিলনের দূত!
ঐ মেঘের উড়ে, উড়ে যাওয়া,
জানো’না কি, মিশে আছে কত বিষাদ!
কতদূর, যেতে হবে তাহলে?
বসন্ত, তোমার কোথায় ফোটে?
হলুদফুট, ছড়ানো কি অন্য পথে?
কে আছে, তোমাকে যে জানে?
দূরে আকাশপানের পথে,
কি টানে, কিসের খেয়ালে?
লন্ডন, সে শহর বেশ ঝকঝকে,
ফিরে কি আসবে, মনে করে?
তবে মেঘ উড়ে যেও তার কাছে,
মনে পড়ে যেন তার আমাকে
ভালোবাসা, সযত্নে রাখা আছে,
বৃষ্টির খাম তুলে দিও, তার হাতে।
উত্তর সে নাই’বা পাঠাল,
আমার দেওয়া কলম সে হারিয়েছে।
কলমখানা, সে বার, বার খুঁজুক,
শেষে, সে একদিন খুঁজে পাবে।
তারপর, সে শহরের বর্ষা ছেড়ে,
বসন্তের খোঁজে, আবার আমার শহরে।
কি হারিয়েছে, প্রশ্ন তার বুকে,
খুঁজে কি পাবে, আবার আমাকে?
সার্থক,তবে আজকের এই বর্ষা,
ঐ কৃষ্ণ কালো মেঘ থাক বন্দী হয়ে,
ফুটন্ত মালতী গাছ জোড়া,
চেয়ে থাকুক, আজ এ সন্ধ্যেতে।