ডাকচিঠি-২৯
আলোর হৃদয় পূরণ করতে গিয়ে বিরহের কবিতা সেদিনই লিখতে আরম্ভ করলাম যেদিন লোকের মুখে মুখে সমাজের অর্থহীন অট্টহাসিতে ডুব দিয়ে
অসমাচীনের কলঙ্ক মুক্ত হয়েছিলাম।
টিয়াপাখির ঠোঁটে কথা সাজিয়ে
পোড়া রাস্তায় পৃথিবীর রোদ ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।
হৃদয়ের ভাবতরঙ্গে কৃৎনিয়ানের বৃক্ষভষ্ট্রনে অগ্রসর হতে চেয়েছিলাম আমি।
আকাশের তারাগুলি আমার পানে তাকিয়ে ছিল যেন হাজার বছরের প্রেম এ সবে বিচ্ছেদ ঘটেছে।
কে তুমি হরিণীর মতো হতে এসেছো
চিনিনি চিন্তিত বক্ষত্রের চিন্তাসূত্রে
একটা আস্ত মানুষ কেবলি পছন্দ করছে গাছের পাতা ঝরে যাওয়া
হেমন্তের শিশিরের শব্দের প্রহরীর মতো রূপভেদ তাঁর
হয়না নিস্তব্ধ তবুও শান্তশিষ্ট নিষ্পাপ মুখ ধুয়ে
আমি সোজা পথে হাঁটি অনেক।।