তমালিকা রুদ্র – অসীম চক্রবর্ত্তী
পৃথিবীতে অসংখ্য গ্রহ নক্ষত্র রয়েছে আকাশ জুড়ে
সবই জেগে উঠেছে নীল আকাশের প্রান্ত ফুঁড়ে ।
দেখেছি সুমেরুর এস্কিমোতে কখনও কুমেরুর অ্যান্টার্কটিকার প্রান্তরে
কখনও দেখেছি আমি অন্ধকারে ব্যাকুল কুহেলিকার অন্তরে ।
চারিদিকে আমার চোখে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম আলোকবিন্দু যতো
দেখতে পেতাম দিবা রাত্রি ভাসমান ধোঁয়ার মতো ।
যেন কেউ দূর আকাশ প্রান্তে আবছায়া নীহারিকা
আমারই অনতিদূরে কেউ যারে অদৃশ্য করেছে কুহেলীকা ।
এদের মাঝেই দেখেছি তারে কৌমুদী, জ্যোৎস্নায় শুভ্র
মনের আঁধারে আলোর পরশ দিয়েছিল তমালিকা রুদ্র ।
চোখ তার মধুর রহস্য, মুখে স্মিত হাসি
প্রণয় মেশানো আলো তার যেন বলছে ভালবাসি ।
নির্মলা তারে দেখেছি আমি গ্রহ নক্ষত্র মাঝে
বলেছিলাম তুমিতো নও ওরা ? এ কোন সাজে !
মুখপানে চেয়ে রয় সারারাত জ্যোৎস্নায় ভরিয়ে শুভ্র
আধখানা চাঁদের ফালির মতো বিরাটির তমালিকা রুদ্র ।
দিন ফুরায় পৃথিবীর চূড়ায় ঘন সন্ধ্যা আসে
কুহেলীরা আসে ধোঁয়া হয়ে মাটির উপরে ভেসে ।
সারাদিনের হিসেব সুতোয় বেঁধে নী়ড়ে ফেরে খেচর
ক্লান্ত দিনের শেষে আঁধারের গন্ধ ছড়ায় নিশাচর ।
পৃথিবীর সব রঙ কালো রঙে ঢেকে যায়
গ্রহ নক্ষত্ররা হারায় এক গুচ্ছ অস্বচ্ছ আবছায় ।
থাকে শুধু শান্ত কৌমুদী ও তার শুভ্র
চোখে চোখ রাখিবার দেখিবার নমনীয় তমালিকা রুদ্র ।