তরী বাইয়া যায়
বয়স পয়ত্রিশ, যৌনশক্তি হ’য়েছে নিস্তেজ
মাঝেমধ্যে হৃদয়ে একটু উঁকিঝুঁকি দেয় কামভাব
এই বয়সে ভাবের সাগরে হাবুডুবু খেতে ইচ্ছে করেনা
মনটাও আঠারো বছর বয়সের মতো ফুরফুরে নেই।
এক পা গর্তে আরেক পা উর্ধ্বে —
এই বয়সে এসেও তরী ভাসিয়ে বৈঠা মরতে চায়
নতুন সাগরে ডুব সাঁতার কেটে তৃপ্ত হ’য়ে —
হারাতে চায় কাম সাগরের ঢেউয়ের তরঙ্গে।
উদ্ভট চেহারা, বিবর্ণ পোশাক, জটবাঁধা চুল —
সমস্ত দেহে গাঁজার উদ্ভট দুর্গন্ধ, লম্বা গোঁফ
শরীয়ত, মারেফাত, হকিকত, তরিকতে বাস
অবৈধ সাগরে ভাসায় পাল ছেঁড়া তরী।
কতিপয় শাহের পদধূলিতে ধন্য বাংলার ভুমি
হৃদয়ে উদয় হয়নি চাষ করতে অন্যের জমি।
কেমন কেরামতি দ্যাখালো পীর বাবা খেতা শাহ
বন্ধ দ্বার খোলে দিলো নারী শিষ্য নাতাশা।
খেতা শাহ্ — গেতা শাহ্ — কামাল শাহ্ —
মেটায় তপস্বীদের হৃদয়ের আশা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে মুখ,তপস্বীদের দেয় সুখ
অন্ধকার ঘরে বসিয়ে মেলা, চলে পীর মুরিদের খেলা।
এখন তো কেবল মৃত্যুর ফরমানের অপেক্ষা করা
এমন অপেক্ষার প্রহর কি আর কেউ গুনে?
বাবাদের কাছে অন্যের তরীতে বৈঠা মারার স্বাদটাই অন্যরকম
মাঝি হ’য়ে তরী বাইয়া যায়, ছিঁড়ে যায় পাল।
শাহ্ বাবা বাই তরী নওজোয়ানের মতো
সারিয়ে তুলে কাম পিপাসির হৃদয়ের ক্ষত
বৃদ্ধ বয়সেও আঠারো বছরের উদ্দামতা
জাদু দ্যাখিয়ে হরণ করে অন্যের মধুমিতা।
খেতা বাবার হৃদয় আকাশের মতো মহৎ
কত্তো তপস্বীরে দিয়েছিলেন সুখ
এমন বাবার জন্য গর্বে ফোলে উঠে আমার ক্ষুদ্র বুক
নিজেকে বিলিয়েছেন পরের তরে।
০১/০৭/২০২২ সৌদি আরব