তিতাসের অলঙ্কার
আমার খুউপ মনে পড়ে
২০০৫ সালে আমি যখন ইন্টারমিডিয়েট-এ পড়ি
বন্ধু নাসিম এসে বললো “চল্ এক জায়গায় যাবো”
কিচ্ছু না ভেবেই তার সাথে চলে গেলাম —
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অডিটোরিয়ামে।
অডিটোরিয়াম ভর্তি মানুষ, জনস্রোতের ঢেউ
সবাই অপেক্ষা করছে হয়তো আসবে নামীদামী কেউ।
সবার মতো আমিও অপেক্ষার প্রহর গুনছি —
কার প্রতীক্ষায় এ মেলা, কার প্রতীক্ষায় এ স্রোত
বিকেল ঘনিয়ে এলে মঞ্চে এসে দাঁড়ায় এক বৃদ্ধ
ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি, ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি গায়।
কবি আল মাহমুদ —
একদম সহজ সরল মনের মানুষ ছিলেন —
যখন হাত মিলিয়ে ছিলাম, খুউপ কাছে থেকে —
মুখের মৃদু হাসিটি উপভোগ করেছিলাম।
আমার এই পয়ত্রিশ বছরের জীবনে —
কোন বিখ্যাত কবির সাথে এটাই ছিলো প্রথম এবং শেষ সাক্ষাৎ —
স্মৃতির পাতায় খুঁদায় করে এঁকেছি —
ধুসর হতে দেইনি তোমার স্মৃতি।
খুউপ ব্যাথিত হই —
খ্যাতির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত স্বনামধন্য কবিরা —
যখন তোমাকে গেঁয়ো ব’লে ডাকতো —
তোমার কবিতা নিয়ে উপহাস, বিদ্রূপ করতো।
তুমি নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছো গাঁয়ের ছবি
কৃষক-কৃষাণীর ভাষা ফুটে উঠেছে কবিতায়।
তুমি হিংস্র থাবায় পড়েছিলে নোংরা রাজনীতির
অন্ধকার জেলে বসে গান গেয়েছিলে সম্প্রীতির।
তুমি তিতাসের অলঙ্কার, বাউনবাইরার অহঙ্কার
বাংলা সাহিত্য ধন্য, সোনালী কাবিনের জন্য।
১১/০৭/২০২২ সৌদি আরব