দিন – রাত্রি
ফুরায়ে গেছে দিন আমার
ফুরায়ে গেছে রাত।
নতুন করে জেগে ওঠার সাধ
শহর-নগর-বন্দর আজ অবসাদ।
জিতিয়া রয়েছে নোবেলজয়ী অন্ধকার রাত
কেটে যাবে দিনের আলো ভোরের ঐ সাজ;
এখানে জীবনের চলন্ত রেলগাড়িতে
অলস পালঙ্কের নেই কোনো কাজ-
তাহাদের সময় আসিয়াছে ফিরে যাওয়ার
সান্ত্বনা ভরা পিপাসার ছায়াঘেরা রাতে
যাহারা শরীরের স্বাদ লয় বিছানার ঘ্রাণ।
এখনো মনে হয় সভ্যতাকে কিনে লয়ে
আসিবে গ্রীষ্মের পাতা ঝরা দিন-রাএ;
কখনো সৌন্দর্য ধরিবে না মানুষের সাথে
সময় আসিলে ঝরে যেতে হয়
শুকনো পাতা ঝরে যাওয়ার মতো করে।
প্রকৃতি কত সুন্দর কত বিভাবরী মনোরম
তবুও কালের সাথে নষ্ট হয়ে যেতে হয়,
জীবনে বাঁচিয়া থাকলে হয় না তো জীবন
ভেঙে যাওয়ার ভয় লয়ে স্বপ্ন জয়ের পথ
এমনি করেই দূরে যাবে চলে হাতের নাগাল ছেড়ে।
‘দিন-রাত্রি এখনো হয়না শেষ
জানি আমি জানি ঘুমাবার উৎপাত-‘
মনের আড়াল হতে বনানীর ঘাস।
বহু বছর পর আসিবে একটি মাত্র রাত
যে রাতে বহিবে না আর বাতাস
সেই নদী, সেই মরু, সেই পাহাড়, সেই নীলাকাশ
দেখিবে না আর কেউ!
যে রাত্রি দিয়েছিল আমাকে এক নিস্তব্ধতার নক্ষত্র
সেই রাত্রি আজ মরে গেছে উল্কার উম্ফলনে।
২
ফুরায়ে গেছে দিন আমার
ফুরায়ে গেছে রাত।
নতুন করে বেঁচে ওঠার সাধ
খুঁজে পায় খসে যাওয়া তারার মতো।
যেখানে জিতিয়া রয়েছে দিনের আলো
সেখানে আনন্দ অবগাহ।
যেখানে জীবনের হয়েছে শেষ
সেথা হয় দিনের শেষ রাতের শুরু-
তাহাদের ডাকিয়া লই কাছে
ফাগুন ভরা উদাসীন রাতে
শহরের রাজপথে পথে
প্রেমের সংকল্প মনেতে জাগে।
আজ তবু মনে হয়
প্রদীপের কিনারায় কালির প্রহর
মাখিয়া দেয় চোখে-মুখে-নাকে-ঠোটেঁ;
সময় আসিলে ফিরে যায় তাহারা
বদ্ধ ঘরের জানালা খুলে।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকা এমনিতেই নয় পাওয়া
সত্য না জানিলে হয়না তো কিছু পাওয়া,
মরুভূমি জীবনের উষ্ণ বালি
সমুদ্রের ধার হতে ফিরে আসা
তবুও সত্য হয় না তো জানা।
‘দিন-রাত্রি মৃত হওয়ার এক মুহুর্ত আগে
চেতনায় অগ্রসর হতে হতে
চলে যায় ফুলে ভরা মৃত্যুর উপত্যকাতে।’
বহু বছর পর আসিবে না আর দিন
যে দিনে উঠিবে না আর জেগে সূর্য
সেইদিন পৃথিবীর শেষ অমানুষের অমঙ্গলে;-
দেখিবে না আর কেউ চেয়ে
পৃথিবীর ধ্বংস হওয়ার লগ্নে;-
আমার সকল কবিতা চিরসত্য রূপে।।
০১/০৯/২০২১