দু-নয়নে
দু-নয়নে
-ভাস্কর পাল
রেখেছি তোমারে বারংবার
অশ্রু ভরা দু-নয়নে
গল্পটাকেই কল্পনাতে
সত্য বলে নিয়েছি মেনে।
গড়ে তুলেছি হাজারও স্বপন
দু-নয়নের সম্মুখনে,
বাতাসে বইছে ফাগুন হাওয়া
গগন তলে ঝরছে আলো।
হাজারও কোমল মেঘেরও বর্ষণ
আজব এক টান-পেরণে
অকাল লেগেছে মনের গোপনে।
যখন লাগে একলা ভারী
চলে যাই সেই নদীর ধারে
ভাসিয়ে আসি স্বপ্ন গুলো
নৌকা করে অশ্রু জলে।
মাস ঘনিয়ে কাটছে বছর
যুগান্তরের মিলন ছন্দে
ঘন মেঘে লুকিয়ে পড়েছে
সৃষ্টিকর্তা সূর্যি দেব।
কপোলতলে বইছে নদী
ঈশান কোণে মেঘের বর্ষণ।
আনছি দাবি, জবাব চাইছি,
নেশায় মত্ত ঐ যে ‘রূদ্র’
এটাই কি ছিল লেখ্য!
হস্তাপনের সেই রেখেতে?
খেপে ওঠ আজ তুই মেঘনাদ-
ভাসিয়ে দে বিশ্ব ভুবন
ভোলার ছন্দে তুইও আজ
দেখিয়ে দে তোর লীলা খেলা।
তবুও মোছেনি স্মৃতি চিহ্ন
আঘাতের সেই লাল নীলিমা
নারীর দেহের সেই ক্ষতটা
মিটাতে পারবে একদিনে?
অন্ধ রাতের অন্ধকারে
শিয়াল কুকুরের হুঙ্কারে
ঐ যে লাগলো দ্বন্দ্ব দেখো
ঝরছে রক্ত আকাশ হতে
কত বীর সব দিচ্ছে প্রাণ
দু-নয়নে ঝরছে জল;
তবুও সেই পাগলা ভোলা
দেখছে মজা, নেশায় মেতে।
দু-নয়নে রাখছি ধরে
বেঁধেছি তাঁদের মনের গোপনে
আয়-রে সব; বাজা কাঁসর – বাজা ঘন্টা
মাতিয়ে তোল বিশ্ব ভুবন।
দু-নয়নে আজ রক্ত ঝরছে
শেষ হবে আজ, এ ধরাতল।।