ধ্বংসস্তুপে পুড়া ছাঁই
জীবনটাকে উপভোগ করতে পারেনি ঠিক জীবনের মতো করে
এক কষ্ট ভয়ঙ্কর কষ্ট চেপে ধরে আমার গ্রীবা
আমাকে নতজানু করাতে চায়, বসাতে চায় হাঁটু গেঁড়ে।
বিরহের খোলসের ভিতর থেকে নিজেকে সাপের মতো বের করে আনতে পারিনা —
পরিবর্তন করতে পারিনা নিজের নিজস্ব রূপ।
তুমি হিরোশিমার জ্যান্ত মানুষ গুলোকে পুড়তে দ্যাখোনি
সীতাকুণ্ডের ডিপোতে মানুষ গুলোকে পুড়তে দ্যাখে চোখের জল ফেলেছো
আমার ভিতরের পুড়া তুমি দ্যাখো-নি —
দ্যাখলে-ই বা কি করতে —
এই আগুন তো তুমি নিজের হাতে লাগিয়ে —-
পেছন ফিরে না তাকিয়ে নীরবে চলে গেলে।
অদ্ভুত এই পৃথিবী —
কেউ আগুন লাগিয়ে নীরবে চলে যায়
আবার কেউ এগিয়ে আসে আগুন নেভাতে —
আগুন নিভে গেলে-ও ধ্বংসস্তুপে পুড়া ছাঁই এবং কালোদাগ থেকে যায়—
পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়।
অদ্ভুত এই পৃথিবী —
কেউ এই নীলাকাশ–নীলাচল
কুয়াশা ভেজা স্নিগ্ধ সকাল, বৃষ্টিস্নাত পড়ন্ত বিকেল
পাখির কোলাহল, সবুজের সমারোহ দূরে ঠেলে
নিজ হাতে জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে —
অজানা অচেনা পথে পাড়ি দেয়–
আবার কেউ পৃথিবীকে ভালোবেসে অমরত্বের দাওয়াই খুঁজে বেড়ায়।
অদ্ভুত পৃথিবী, অদ্ভুত ভেতরের চাপা কষ্ট
মনে হচ্ছে বুকের অলিন্দে কেউ চাপাতি দিয়ে —
কোরবানির পশুর হাড় এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে।
কেউ মত্ত মরার নেশায় — কেউবা আবার মারার
কেউ মত্ত স্বপ্ন ভাঙার — কেউবা আবার জুড়বার।
২২/০৬/২০২২ সৌদি আরব