নবজীবন – অসীম চক্রবর্ত্তী
চারিদিক থমথম করি জলধর
দেখি রৌদ্র লুকায়ে মেঘ আড়ম্বর।
গগনভেদী গগনাম্বু বজ্র বেদনী
মেদুর বাতাস বহে জুড়ায়ে ধরণী
থামায়ে হিংস্রতা বনের মর্মর।
অস্থির তটিনী রেগে ফাঁপিয়া বর্বর।
জনশূণ্য পথঘাটে অবিশ্রান্ত ধারায়
নিঃশব্দ নামিল আসি মধ্যাহ্ন ছায়ায়।
কল্পতরু বৃক্ষতলে তিমিত বসনে
জড়সড়ে কেউ আড়ে ভীষণ বর্ষনে।
আচম্বিতে মোহিতে আমি তাহার দর্শনে
সেইক্ষণে মোরা দুই নীরব নির্জনে।
বহুক্ষণে চুপ সেথা মুদিত নয়নে
প্রমুদিত সাজি হেথা তন্নিবন্ধনে।
অবশেষে শুধিলাম তার পরিচয়
শুনি তাজ্জবে চক্ষুস্থির মনে বিস্ময়!
এযে মোর প্রাণপ্রিয়ে!! ভুলি সব ব্যথা
বিরহের বঁড়সিতে আজও আছে গাঁথা।
দিয়ে ছিনু পাড়ি আমি ঐ ভীনদেশে
মন মাঝে রাখি তারে বড় ভালবেসে।
ক্ষণিকের মেঘাবৃত অদৃশ্যে হারিয়ে
পুষ্পিতে যত ছিল জাগিল সাজিয়ে
রৌদ্র জাগিল সেথা প্রচ্ছন্ন সরায়ে
সারি সারি বেলি ফুলে সুগন্ধ ভরায়ে।
পক্ষীদল কোলাহল জুড়িল সেই নন্দনে
আবার মিলিয়া মোরা গভীর বন্ধনে।
দেবতরু মিলাইলো এক নবজীবন বাঁধিতে
মোরা দুই শিহরিত কাঁদিতে কাঁদিতে।।