নিষ্পাপ চোখের আকুতি
কে নেভাল প্রদীপ? কে নেভাল আলো?
জ্বালাও তার ঘর, জ্বালাও তার প্রাসাদ
চারদিকে লাশের সারি, কতো আহাজারি
পা নেই-হাত নেই, নেই মাথার খুলি।
চোখ ফেটে এলো জল –
দ্যাখে অন্তঃসত্ত্বা নারীর রোদন বিহ্বল।
সাত মাসের শিশু আসে মামার কাঁধে দিয়ে ভর
যদি বাপের হদিস মিলে ডিএনএ পরীক্ষার পর।
নিষ্পাপ চোখের আকুতি –
আমার বাপরে তোমরা দ্যাখছনি?
মায়ের কান্না সইতে না পেরে খুঁজতে এসেছি মরণাাগারে
বাপরে আমার কোথায় পাবো? কোন মিছিলে খুঁজতে যাবো?
একফালি চাঁদের মতো মুখ
ভেসে উঠলো পৃথিবীর সমস্ত দুখ।
কার ছত্রছায়া গড়েছে ডিপো?
নিষ্পাপ চোখের আকুতিতে জানতে চায় ছোট্ট শিশু।
শুধু কি পুড়েছে মানুষ? –
পুড়েছে মানচিত্র, পতাকা, সার্বভৌমত্ব
পুড়েছে স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্খা, ভবিষ্যৎ
পুড়েছে কিশোরীর কপাল, সন্তানের নির্মল হাসি।
বলো বাংলাদেশ বলো,বলো আঠারো কোটি মানুষ
শান্তনার অভয়বাণী শোনাও শিশুটিকে।
সে কি ফিরে পাবে হারানো বাবাকে?
সে কি ফিরে পাবে বাবার আদর,স্নেহ ভালোবাসাকে?
বলো সোনার বাংলা বলো –
বলো আঠারো কোটি জনতা বলো –
মা কি ফিরে পাবে তার সন্তানকে?
বাবা কি ফিরে পাবে তার রত্নকে?
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সন্তান প্রসবের পর কাকে দ্যাখিয়ে –
বলবে? এ তোমার জন্মদাতা, বটবৃক্ষ।
কার হাত ধরে খেলতে যাবে শিশুটি?
কার কাঁধে চড়ে, বুকে চড়ে বড় হবে?
০৬/০৬/২০২২ সৌদি আরব