নেপথ্যে ট্রেন- নক্ষত্র থেকে উঠে আসি আমি
যদি বেঁচে থাকি
তবে এই শহরের পথেই আসিবো আবার ফিরে
শহীদ মিনার কে জাগাতে।
যে ট্রেন লক্ষ যুগ ধীরে চলছিল
সেসব ট্রেন আজ গতি ফিরে পেয়েছে
নক্ষত্রের ক্ষমতায়।
নিদারুণ অভিমানে স্টেশনের ট্রেন দ্রুততার
সঙ্গে স্টেশন হতে রওনা দিও
আমি নিত্য দিনের যাত্রী ;
হয়তো সবেমাত্র লোকো পাইলটের তাঁর প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদের জন্য
স্টশনের ট্রেনটি দ্বিগুণ গতিতে ছাড়ল।
আজি এই বসন্তে ফুটেছে ফুল চোখের আড়াল হতে
আর এমনি করেই কত ফুল ঝরছে নীরবে
বঞ্চনার মহাপৃথিবীতে।
একটি নীল মোমবাতির আলোর শিখায়
নিজের মুখটি স্পষ্ট হয়ে উঠলো
রাত জাগার ব্যাপক চিহ্ন অঙ্কিত ক’রে দিয়ে ;
তারপর আমি মানুষের ভিড়ে হারিয়ে গেলাম
মানুষের ভালোবাসা বা অবহেলা পেতে পেতে।
যারে অতি দূর মনে হয়
সেই’ই তো থাকে খুব কাছে ;
ঠিক যেন নেপথ্যে ট্রেন – নক্ষত্র থেকে উঠে আসি আমি
মানুষের শিরদাঁড়াকে সোজা ক’রতে।
যেসব তারা ঝরে যায় আকাশের বুক থেকে
সেসব তারা কি আর কখনো আকাশ ভরাতে পারে ?
স্টেশনের ট্রেনটি এভাবেই দ্রুততার সঙ্গে চলতে চলতে একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেরলো
লোকো পাইলটটি হারিয়ে গেল বহু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে , কিন্তু সেও কখনো জানতো না যে
এই ট্রেনটিতে সেদিন তাঁর বিবাদের প্রিয় মানুষটিও ছিল
দুর্ঘটনার কবল থেকে সেদিন কেউও রেহাই পেলো না
সেদিন মরুভূমিও চোখের জল শুষে নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ছিল অনায়াসে।।