পাখি দুই – দীপঙ্কর সাহা (দীপ)
এক যে ছিল পাখি সোনার খাঁচায় বন্দি
আরেক ছিল বনের পাখি।।
বিধির কারণে দুজনের হলো দেখা দেখি
হলো কথা হলো ভালোবাসা
হলো পাখায় পাখায় ঝাঁপা-ঝাঁপটি।।
বনের পাখি বলে চল্ ঘোরে আসি
আমার সাথে ডানা মেলি
দেখবি ধরায় আছে কত কী।।
খাঁচার পাখি বলে আমি রাজ সুখি
সময় সময়ে আসে আহার
শুধু শুধু ঘোরে মরব না কী !।।
বনের পাখি কহে ওরে মূর পাখি
সোনার খাঁচায় বাসা হলেই-
হয় না কেউ রাজ সুখি।
এই যে তোর ডানা দুটি
অসার হয়ে দেখি আছে পরি
একবারো কী ডানা মেলি
এই আকাশের উপভোগ নিলি না কী!।।
খাঁচার পাখি কহে এই তো আমার ধরণী
অনুভবে সদা তারে
ছুঁয়ে আমি থাকি।।
নয়ন মূলে যেটুকু আসে
ওরে ছাড়া পাখি,
সেই টুকুই আমার জীবনী
সেই টুকুই আমার কাহিনী।।
বনের পাখি ভনে আহা মরি মরি
তোর মনের কথা আমি বুঝেছি।
এবার আমি আসি-
বনে এবার যাব ফিরি,
ভালো থাকিস্ ওরে আমার
খাঁচা বন্দি পাখি।।
খাঁচার পাখি ভনে আবার ফিরে আসিস্
দূরে যেতে যেতে বন্ধ করে আঁখি-
বলে খাঁচার পাখি
আমি উরি আমি উরি
খাঁচার ভিতর মেরে দুবাহুর ঝাঁপটি।।
এক যে ছিল পাখি সোনার খাঁচায় বন্দী।।
-দীপঙ্কর সাহা (দীপ)