ফিরিয়ে দাও
চারদিকে হৈচৈ-রৈরৈ –
বেঠা শিক্ষক এবার পালাবে কই?
বেত্রাঘাতে ছাত্রকে করেছে ক্ষত
এবার করাবো শিক্ষক’কে মাথা নত।
এত্তো বড়ো সাহস কোথা হতে পেলো
দুধের শিশুকে মেরে হসপিটালে পাঠালো।
থেঁতলে গিয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের চামড়া
হ’য়েছি ঐক্য-জোট, দ্যাখে নিবো তাঁকে আমরা।
টেবিলের উপর থাপ্পড় মেরে – আঙ্গুল তুলে চক্ষে
কোথা হতে এমন সাহস এলো তোমার ঐ ক্ষুদ্র বক্ষে?
মূর্খ গার্ডিয়ান অবৈধ পয়সা কামিয়ে দখল করেন পদ
চোখ রাঙিয়ে ব’লে আসেন এমনটি আর হলে দেওয়াবো নাকে খত।
ক্যামন যামানা এলো ভাই,শিক্ষকের হাতে বেত নাই
শঙ্কা নেই মনে, ছুটছে ছাত্রছাত্রী নিষিদ্ধ পথ পানে।
শুনেছিলাম গুরুজনের মুখে –
শিক্ষকের আঘাতকৃত স্থান জান্নাতের পথে হাঁটে।
হাতে নিলে বেত শুরু হয় মিছিল মিটিং ভাংচুর
অবরোধ রাজপথ, অলিগলি পরিপূর্ণ।
মোস্তফা স্যারের বেত্রাঘাত খেয়েছেন যিনি
মেধা খাটিয়ে সমাজের বুকে আজ প্রতিষ্ঠিত তিনি।
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্রের হাতে ক্ষত
ভুল বুঝতে পেরে শিক্ষক হ’য়েছেন নত।
এমন সংবাদ মিডিয়া করছে প্রচার –
বাড়াতে মিডিয়ার প্রসার।
আর সৃষ্টি হবেনা কুদরাত-এ খুদা, আইনস্টাইন, নিউটন
শেরেবাংলা, নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথ।
ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও –
শিক্ষা-গুরুদের কেঁড়ে নেয়া সেই অধিকার।
লোহা পুড়িয়ে পিটিয়ে দা,কুড়াল,শাবল বানাতে হয়
সোনা পুড়িয়ে নিখাঁদ সোনায় রুপান্তরিত করতে হয়।
ধরি-ও না এমন জেদ-
শিক্ষকের হাতে ফিরিয়ে দাও বেত।
বাবুল, কাওসার, হুমায়ুন স্যারের বেত্রাঘাতে –
রক্ত জমাট বেঁধে হতো কালো পাথরের মতো
তাঁদের পড়া শিখতো সবাই সবার আগে-
যদিও কষ্ট হতো শত, ঘুমে-ও মাথা হতো নত।
তৌহিদ স্যার কথায় খাওয়াতো মল-মুত্র
এই স্যারের পড়া শিখতো না স্যারের কোন পুত্র।
হান্নান স্যার দিতেন ডাস্টারের বারি
দশম শ্রেণিতে কেমিস্ট্রি শিখতো সবাই তাড়াতাড়ি।
২৬/০৫/২০২২ সৌদি আরব