ফিরে এসো
এসো প্রিয়তমা
ফিরে এসে আবার জড়িয়ে ধরো আমায়
তোমার স্পর্শ পাইনি কতোকাল
প্রতিনিয়ত সহ্য করছি একাকীত্বের কুঠারাঘাত।
বুকের সাথে বুক মিশিয়ে —
নিতে পারিনি তোমার ঠোঁটের নির্যাস
তোমার হৃদয়ে বুঝি আজ-ও জন্মায়নি —
ভালোবাসার নির্মল সবুজ ঘাস।
তুমি ফিরে এসে —
আবদ্ধ করো আমায় বাহুডোরের বেড়াজালে
চেপে ধরো আমার দুই পা —
তোমার দুই উরুর মধ্যস্থানে নরম মাংসের ‘পর রেখে।
তোমাকে ছাড়া নিজেকে পাতাহীন বৃক্ষের মতো মনে হয়
মনে হয় আমি নরকের আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হচ্ছি।
তুমি ফিরে এসে শীতল পরশ দাও পুড়া বুকে —
একবার ঝাপটে ধরো আমায় ক্ষুধার্ত শকুনির বেশে।
তুমি আমার বিবর্ণমুখটাকে আরেকটি বার চেপে ধরো তোমার অলিন্দের সাথে
সুধাময়ী আর একটি বার পান করতে দাও তোমার নগ্ন দেহের অমিয় সুধা।
এসো প্রিয়তমা
নিঝুম রাতে শ্মশানে বসে একটু প্রেমের কথা বলি
সমুদ্র তীরে দাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে বুক ভরি
ধবল বকের পালক ছিঁড়ে তোমার খোঁপায় গুঁজি।
এসো ভাঙা তরী মেরামত করে ভাসাই প্রেম সাগরে
শক্ত হাতে ধরবো পাল আটকাবেনা বালুচরে।
ফিরে এসো, ফিরে এসো তুমি —
এই সভ্য সমাজ ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাবো তুমি আর আমি।
এক কোটি বছর আগে আমাকে যেভাবে জড়িয়ে ধরেছিলে
ফিরে এসে আবার একইভাবে জড়িয়ে ধরো
পুড়ে যাওয়া বনভূমিতে বসতি গড়ো
জলপাই পল্লবের ঘ্রাণে, নগ্ন পায়ে হেঁটে যাবে সমুদ্র স্নানে।
যে ডাহুকী একবার বাচ্চা ফুটিয়ে বাসা ছেড়ে গিয়েছিল
সে কি কখনো ফিরে এসেছিল তার পুরনো বাসায়?
তুুমি তো ডাহুকী কিংবা মায়াবিনী হরিণী নও—
তুমি নারী, পূজারিণী, যার হৃদয়ের ভাঁজে উথলে উঠে ভালোবাসার ঢেউ।
ফিরে এসে আমাকে বন্দী করো, বাঁধো রেশমি চুড়িতে
আর কখনো সুখ খুঁজতে যাবো না সাগরের নুড়িতে।
মম চোখে তুমি হবেনা কখনো বুড়ী
সর্বময় থাকতে আঠারো বছরের পুরী।
এসো প্রিয়তমা আগুন লাগা রুপোলী রাতে
প্রণয় হবে মোর প্রণয়িনীর সাথে —
ফিরে এসো তুমি আনন্দ হিল্লোল চিত্তে —
ফিরে এসো তুমি আমার বুকের অলিন্দে।
বিভোর নিন্দ্রায় নিজেকে সোপর্দ করতে পারিনা
দ্যাখি কেউ একজন তোমার ঠোঁট,স্তন,যৌনাঙ্গ–
উষ্ণ চুম্বনে রাঙিয়ে মিলনের বাসনার ঢেউ তুলছে সর্বাঙ্গে–
তুমি পরম তৃপ্তিতে পান করছো সুখের অমিয় সুধা।
উপুড় হ’য়ে তোমার ললাটের ‘পর কে রাখে গো ললাট?
আঁধারে মিশে একাকার হ’য় মোর বিরহের মলাট।
কুমারিত্বে মোর স্পর্শ পেয়েছিলো তোমার যে অঙ্গ
কার পথ চেয়ে মাখে পারফিউমের মাতাল গন্ধ?
ফিরে এসো বিনোদিনী বিরান হৃদয়ে —
আঁখি জলে গেঁথেছি মালা —
নির্ঘুমতায় নেত্রর পাতা ধুসর কালা —
গগনচুম্বী ওহে ডোম্বি মোর বিরহ জ্বালা।
বিষাদিনী পান করিয়ে ছিলে এ ক্যামন বিষ
বিষের ক্রিয়ায় ধমনিতে জাগে মোর ইশক
কৃষ্ণের বুকে ফিরো যদি হ’য়ে রাধা
আছে কার হিম্মত তোমার চলন্ত পথে দেয় বাঁধা।
নেমে দ্যাখো পথে, চড়বে দৈবশক্তির রথে
প্রেম পিয়াসী রাধা, তোমার বাহন হবে গাধা।
ফিরে এসো তুমি শব্দের ঝাঁঝালো মিছিলে
ফিরে এসো জোনাকির রঙে কবির কব্যিকতায় —
ফিরে এসো তুমি আমার ধ্যান — কল্পনা এবং কর্মে
ফিরে এসো তুমি তোমার নিজস্ব ধর্মে — মম মর্মে
ফিরে এসো, ফিরে এসো আমার রক্তমাখা বুকে।
১১/০৭/২০২২ সৌদি আরব