বঙ্গভূমির প্রীতি
রাত্রির শেষে, ‘দিবাকর’ হেসে, প্রভাত হইলো সবে;
পাখিদের গানে আকাশ ভাসিল, গীতিকার কলরবে।
ভাবি, কি অপূর্ব বঙ্গের মাঝে, রংময় এই সকাল;
কত না চিত্ত বিগলিত করি রহিয়াছে সে চিরকাল।
আহা সুন্দর এই দৃশ্য হেরিয়া, চক্ষু জুড়ায়ে যায়;
কত দেখিয়াছি, তবুও পরান আরও যে দেখিতে চায়।
ওই শোনা যায় খেয়ালি কোন রাখাল ছেলের সুরে,
পশুগুলি তায়, প্রান ফিরে পায়, যাইতে পাইলে দূরে।
সারি সারি ওই চাষাদের দল, হাঁকায় গরুর গাড়ি;
সাঁঝের আগেতে ফিরিতে হইবে, এত তাই তাড়াতাড়ি।
নব নব সব বঙ্গ-বধুরা, কলসি লইয়া কোলে,
গৃহস্থালির কাজটি সারিয়া, জল আনিতে যে চলে।
লাঙ্গল-কোদাল-দরিগাছি লয়ে মুনিশের দল ছোটে,
হৈ-হুল্লোড়ে কাজ করে তারা একসাথে-একজোটে।
হাসিতে খেলিতে বালকের দল উড়ায় পথের ধূলা,
হাস্য করিয়া কলরব করে, যাইতে যে পাঠশালা।
এহেন দৃশ্য হেরিয়া যে মোর নয়ন হইল শিতল,
সারা বিশ্ব খুজিয়া দেখিলে, এরুপ বঙ্গ বিরল।
বক্ষে তোমার জনম দিয়াছ, মরিলে লইও কোলে…
প্রনাম তমায় বঙ্গ জননী, প্রনাম চরণ তলে…।