বরষা যায় যায়
ও ভাই, বরষা যায় যায়
আমার গাঁয়ে এসো তুমি হাঁটি হাঁটি পায়।
চারপাশে বিস্তৃত ঝিল তার মধ্যিখানে পদ্ম বিল
দু’পায়ের মেঠোপথ গাঁয়ের সাথে গাঁয়ের করেছে মিল।
সিনাই নদীর বাঁকে, পুরনো স্মৃতিগুলো হাঁকে
কলকলধ্বনিতে মনে পড়ে মা’কে।
দ্যাখে পদ্মপাতায় পুঁটি, কিশোরী খায় রুটি
বৃষ্টি এলে ভিজে উঠোনে ছড়ানো মটরশুঁটি।
আলতা রাঙা দরদী মাটি, জড়িয়ে ধরে পা-টি
কোথাও পাবেনাকো এমন মাটি, সোনার চেয়ে খাঁটি।
ও ভাই, বরষা যায় যায়
আমার গাঁয়ে এসো তুমি হাঁটি হাঁটি পায়।
তরী বাঁধা তীরে, হারাবে পদ্মের ভীড়ে
ব্যাথা ভরা হৃদয়ে মুগ্ধ নয়নে দ্যাখে মোর প্রিয়ে।
জেলে বেয়ে ডিঙি, আন্তা পেতে ধরে চিংড়ি —
কৃষাণের রাঙা বঁধু, চিংড়িতে রান্ধে কদু —
এসো যদি আমার গাঁ, ঘুরবো ল’য়ে শুনবো না কারোর না।
আক্কাস স্যারের পুকুর পাড় জারুল গাছের সারি
কানি বক খাবারের খোঁজে গাছের চিপায় পাতে আড়ি।
ছয়টি মুক্ত পাঁপড়িতে গঠিত কোমল নমনীয় বেগুনী ফুল
মউ-মউ গন্ধে হারাবে ভাই জীবনানন্দে।
ও ভাই, বরষা যায় যায়
আমার গাঁয়ে এসো তুমি হাঁটি হাঁটি পায়।
পদ্মা পাতায় ডাহুকীর বাস –
পুরো বিল দাপিয়ে বেড়ায় জোনাকির মা’র পাতিহাঁস
দুষ্কৃতকারী করছে নাশ, উজাড় করছে বিল —
ওরে তোরা কে কোথায় আছিস? —
কাঁদার ভিতর গেঁড়ে দে মেরে এক কিল।
সেথায় আবার আসিবো ফিরে —
শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি যেথায় রয়েছে ঘিরে।
১৭/০৮/২০২২ সৌদি আরববরষা যায় যায়