“বর্ণ”কথা”কণা” –মোঃ রহমত আলী
“বর্ণ”কথা”কণা”
==============
মোঃ রহমত আলী
================
ক ! ক-জানি না কবি কালের,
কলম তুলি কান কাপেছে ঠোটে,
শিক্ষা মাটি মূর্খ বনীল।
খ ! খুলিতে-ই কিতাব চিন্তামন,
তাই খুদ খোয়াবী,চোখ মুন্দী-
কেমন,শুই তো তখন।
গ ! গাধা আমি আমার পালের,
গুণ বীণে গাফিলতির,
গোলকধাঁধার ওজন গুণে।
ঘ ! ঘাড় নুইয়ে কু-নাম শুনি,
যতক-ততক ঘর ছেড়ে ঘর খুঁজি,
ঘাম মুছে নিজ তবনে।
ঙ ! আঙুল নাহি কারো পানে তুলি,
নিজ ঘুম ভাংগি,
আঙ্গুলে তাসবিহ গুণন চলি।
চ ! চামচামি নাহি কারো করি,
চোখ-দেখে-চোখ দেই,
চা পানিতে জিহ্বা ঝাঁঝায় লই।
ছ ! ছাড় নাহি নিজেকে দেই,
ছত্রাকার-সমাজের-ছাড়পত্র-
পাওয়া ছাত্র গুনী কই।
জ ! জবান সামলে-
জবাব দিয়েই জামিন,
জনাব জ্বলি নিজেই,
অন্যান্য না জ্বালাই।
ঝ ! ঝগড়ার ঝংকার-
শুনেও না শুনি-রে,
ঝুপ করেও চুপ,
ঝই ঝামেলা চল এড়িয়ে চলি।
ঞ ! অজ্ঞ আমি কৃতজ্ঞতাপূর্ণ,
মন রতে মিঞা নাহি চাই হতে,
না- কঞ্জুস বনীতে।
ট ! টাকা-টাকা কয় কথা,
বন্ধনহীন টক্কর,টাকা’র না দেই,
টক কথা না কানে লইরে।
ঠ ! ঠোকর খেয়ে ও
ঠিক হলুম না তাই,
ঠকার পরে-ই সঠিক
হুশ পেলুম সমত ভাই।
ড ! ডুব দিয়ে বিষ খায় কে বলো!
ডাক্তার ডেকে না পাই তো,
ডাকাত ধরতে চোর আনাই।
ঢ ! ঢাক বাজিয়ে না কারো
কু-নাম ছড়াই, তবু ঢাঁট(নির্লজ্জ)
লোকের লজ্জা যে নাই।
ণ ! ণা করি ঘুষ-খোরি,
ঘৃণার পাত্র হতে,
ণা হোই ঘৃণ্য যেন,
নিজ ঘুনি কার্যক্রমে।
ত ! তাবলীগ দ্বীনের
হক চালিয়ে যাই,
চল-তবে,সবুর-সবে,তওবা
করে-করি ভাই।
থ ! থলে নেক-আমলে
কর্মে-করি-ভরি,
থাক যে থাক যেমন,
আমি দ্বীনদার বনি।
দ ! দরুদ পড়ি বেশি-বেশি,
তবেই তো হয়, দুঃখের পারে-ই
সুখ সবে পাবো সদা তো।
ধ ! ধার-দেনা শোধ করে’ই আগে,
হায়াৎ রইতে ধরেই রাখি,
ঈমান সবে সব আমূল।
ন ! না পারার কোনো কিছুই নাই,
সবে চলি না বেখেয়ালী তায়,
চোখের পর্দা করে করি ভাই।
প ! পাপি আমি-আমার পাপে,
পাগল বটে তাপে,
পাপ হতে দূর রোতে,
পারি করিত পুণ্য পূর্ণ।
ফ ! ফরজ আমল পূর্ণ করি,
কুফর শির্ক মুক্ত হয়ে,
ফকিরকে দান দিতে-ই থাকি রে।
ব ! বাবার মতো-ন আপন,
কে? বা বলো !
বন্ধু দুঃখের চিনে রাখি,
পথ চলার চলো।
ভ ! ভয় করি সেই
বিচার দিবস ভাই,
ইসলাম সত্য- যখন
কেউ কারো নয়কো তাই।
ম ! মিথ্যা ছাড়া সত্য বলিব,
মায়ের মতন কে আর আছে কে!
এ জগৎ পানে গো।
য ! যে যেমন যোগ্য,
সম্মান করি সমান,
যথাযথ ফরজ আদায়
দিতেই হবে প্রমাণ।
র ! রাত গভীরে নফল
আমল করি কে ? কি ! আদায়,
রাগ করোনা কেউ এ কথায়।
ল ! লাভের অতি আশায়,
সুদ নাহি লই।
লোভ করি-না,
জনে সবে পরাধনের ধ্যানে।
শ ! শিকড় শিক্ষায়-
কি ? বলে কি ! এ,
শক্তি অন্যায় না দেখাই,
দুর্বল সনে হে।
ষ ! ষড়যন্ত্র কারির বশে,
পাষাণ না হোই-
বিষ পাথর সমান,
আপন জনের তরে তে।
স ! সালাম দিতে জবাব না ভুলি,
যেন সালাত আদায় করি,
সদা সত্য-কথা বলি।
হ ! হক কথা বলেই বলি,
হক না খাই কারো,
ফেলে না দেই হালাল-হারাম,
হক আদায় জীবন গড়ি বলো।
ক্ষ ! ক্ষমতাবান জনে
ক্ষণেকের তরে-র,
ক্ষমাশীল হও তবে,
সকলের হ্যাঁ সনের।
ড় ! জোঁড়া না ভাঙ্গী
মোরা বন্ধোনেরি,
জুড়ি-সব জুড়া-করি এক,
রুখি ভাংগনের।
ঢ় ! দৃঢ়নিশ্চয় পরকালে
জবাবদিহি হবেই হবে,
দৃঢ়ীকরণ ঈমান সবে,
করি থীর তবে।
য়! বিয়োগ হয়ছে
রোজ আয়ু আমার।
হায়াত শেষে বন্ধ সব
আমল করা সবার।
ৎ ! অসৎ না রই,
হঠাৎ হবেই মরণ জানি,
সৎ কর্মের-কার্য্যে সুফল
দো-কালে-রবেই।
০৻ ! অহংকার না করি,
মুসলিম যদি হোই,
সংসারের মোমিন সবে
প্রশংসারত এক রবের।
: ! নিঃশ্বাসে প্রতি
আল্লাহর জিকির করি।
তমঃ হতে বেরিয়ে
আলোক পথ ধর চলি।
৺ ! আঁখি বন্ধ করে
নাহি চলাচল করি,
কি? আঁচকর বুক টাঁনটানে,
আকাশ ছুতে পারি।
অ ! অবগত হয়ে
অবচেতন না হোই,
দ্বীন অনুসরণ করি কি?
হাদিস মোতাবেক সবি।
আ ! আলহামদুলিল্লাহ
জপি দিনরাত,
আল্লাহু”আকবর
জপে জিন্দা দিল করি।
ই ! ইনশাআল্লাহ বলি
কালকর্মের আশায়,
ইনসানবনি-ইনসাফে
সমতা কায়েম করি।
ঈ ! ঈমান তো কম-বেশি
সবার-ই আছে,
ঈমানদার কজনে-ই
আল্লাহতায়ালা জানে।
উ ! উপকার করে-না-করি,
কারো আর অপকার,
উদাহরণ হোই করে অপক্ষপাত।
ঊ ! ঊষা বেলা উঠে
পায়চারি করি,
ঊর্ধ্ব কণ্ঠে কাক,পঙ্খী ডাকি,
দানা রোজ দান করি।
ঋ ! ঋজু হয়ে নেক
রাহে চলো-চলি,
ঋণ করে কভু কেউ
ফুটানি নাহি করি।
ঌ ! পুরাতন বইয়ে পড়েছি-নু
(লী)কার, ব্যবহার নেই তার,
নব পাতায় ছাপানে তাই।
এ ! এ আমার একান্ত
দিলের আওয়াজ,
এক আল্লাহ জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ।
ঐ ! ঐসব বদখত দের
হতে দূর থাকিব,
ঐ এক মজলুম
আওয়াজ কন্ঠে রাখিব।
ও ! ওজনে কম না দেই কভু,
ওয়াদা খেলাফ না করে।
আমানতদারি পুরো করি,
ওস্তাদের সম্মান না ভুলি।
ঔ ! ঔচিত্য গড়ে তুলি,
ঔৎকন্ঠ্য অর্জনের,ঔৎকর্ষ হবেই,
ঔদার্য মহাঔষধ বনিলে ॥
===০২-০২-২০২৩===
অতঃপর কিছু কথা :–
………………………..
আস্সালামুআলাইকুম ,,
………………………..
সাধারণত বাংলা বর্ণমালার বর্ণনা
তো অনেক ধরনের উপমার কথায়
লিখে দেওয়া যায়। এই কবিতায় আমি যত সম্ভব প্রতি বর্ণের বর্ণনা অল্প কথার মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।মাত্র।
যা আমাদের জীবন বোধের কিছু
অতি প্রয়োজনীয় হতে পারে।
তবে আমার ভুল হতেও পারে উদাহরণ দেওয়ার মধ্য। যেমন:- বানান,ছন্দ,গদ্য, মিলতাল,তুলনা,ইত্যাদি-ইত্যাদি।
এই কবিতায় আমি কাউকে ব্যথিত
করে কিছুই লেখা লিখি নাই।
তবু আমি আন্তরিক ভাবে সব পাঠকের কাছে, অন্তর থেকে- ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ।সবাইকে-ধন্যবাদ।
……………………………………