বুকের ভিতরে ঝড় উঠে
বিমানের প্রতীক্ষায় বসে রয়েছি ওয়েটিং রুমে
ভেতরটা ক্যামন জানি খাখা করছে
এই শীতের মধ্যেও মনে হচ্ছে ভিতরটা চৈত্রের রৌদ্রের মতো শুকিয়ে গিয়েছে
এতোটা খরা আগে আর কখনো আসেনি-
চোখের জলে চোখ এমন করে আর কখনো ভাসেনি।
মেয়েটির কথা খুব মনে পড়ছে
উঠোনে তার পদচারণার শব্দে আমার ঘুম ভাংতো
আজ সকালে শুনতে পাইনি তার পায়ের আওয়াজ
ছলছল চোখে কাঁদোকাঁদো কণ্ঠে বিদায় জানিয়েছিল।
এতোটা বিষন্ন আগে কখনো লাগেনি
আর-ও তো কয়েকবার আসা যাওয়া করেছি
কিন্তু এতোটা আর কখনো জ্বলেনি অন্তর
এতোটা আর কখনো পুড়ায়নি আমাকে।
তোমার বিদায় জানানো আমার ভিতর নাড়িয়ে দিয়েছিল
চোখের কোণে জমা ছিল কয়েক ফোটা অশ্রু
হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে খুব যত্ন করে মুছে দিয়েছিলাম
খুব কাছ থেকে দ্যাখে ছিলাম তোমাকে,
আগেও দ্যাখেছিলাম কিন্তু এতোটা নিখুঁতভাবে দ্যাখিনি।
খুব মনে পড়ছে তোমাদের
জানি না এ বিরহ কতোদিন জ্বালাবে, পোড়াবে –
তোমার দীর্ঘশ্বাসের হাওয়া, মেয়ের ছলছল চোখে চাওয়া
মনে হলে বুকের ভিতরে ঝড় উঠে।
২৯/০১/২০২২ সৌদি আরব