ভন্ড পীরের পীরালী
ভাবছি লোকালয় থেকে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হ’য়ে যাবো
গহীন অরণ্যে কয়েক বছর গাঁজার কল্কি টেনে
জটবাঁধা চুল, লম্বা গোঁফ নিয়ে লোকালয়ে —
ফিরবো একখানা ছেঁড়া খেতা গায়ে জড়িয়ে।
কল্কি না টানলে ধ্যানমগ্ন হওয়া যায়না
পীরের পীরালী হয়না জাহির
কথোপকথন করা যায়না স্রস্টার সাথে
টান মেরে কল্কি ফাটাতে হয় দিনে কিংবা রাতে।
পদ্মাসনে বসে কয়েক বছর তপস্যা করবো
দাঁড়ি বুক ছাড়িয়ে নাভীতে এসে পড়বে
হক্ক মা-ও —- লা জিকিরে ঢেউ উঠবে গঙ্গায়
খেতা বাবার মতো ঘুরে বেড়াবো ডাঙায়।
দলে দলে লোক এসে পদতলে ঠেকাবে মাথা
লাল সালোতে সজ্জিত করবো ছাতা
হবে রাতভর মাস্তি — বাৎসরিক ওরশ –
খেয়েদেয়ে হবো সরস, প্রাণ জাগাবে তপস্বীর পরশ।
উড়বে বাঁশের আগায় লাল নিশান
গরু–ছাগল–মুরগী নিয়ে আসবে কৃষাণ
মুরিদান দু’হাতে ঢালবে পয়সা —
সমালোচকদের হৃদয়ে আগুন জ্বলবে ঘইষা।
গাঁজার কল্কিতে মারবো টান —
ছিঁড়ে যাবে আছে যত্তসব জাদু-টুনা-বান
তপস্বীরে ল’য়ে করবো তপস্যা —
চারিদিকে ছড়াবে পীরের পীরালীর কেচ্ছা।
আমি হবো ভন্ড বাবাদের বাবা —তুমি হবে খাদেমা
খেতা বাবার মতো হবো নিরুদ্দেশ —
সফল হবে হাজার বছরের উদ্দেশ।
পাহাড়ের পাদদেশে একটা গুহা খুঁজে ধ্যান করবো
আসহাবে কাহাবের যুবকদের মতো —
এক ধ্যানে হাজার বছর কেটে যাবে।
যখন লম্বা চুল — দাঁড়ি — গোঁফ নিয়ে লোকালয়ে —
ফিরে এসে লম্বা টানে হেয় হেক্কা জিকির ধরবো
দরাজ কণ্ঠে গান ধরবো মুর্শিদের —
সবাই পীর বাবা, পাগলা বাবা, খেতা বাবা, কল্কি বাবা ব’লে নত করে দেবে শির।
হায়রে বাঙালী, কবে হবে জ্ঞান —
মুইত্তা পানি লয়না পীরের খেতাব দেন —
পড়তে পারেনা কুরআন, ধরে পীরালীর বেশ
ভন্ড পীরদের পীরালী কবে হবে শেষ।
০২/০৭/২০২২ সৌদি আরব