ভবিষ্যতের কেনাকাটা
কাল পেঁয়াজ কিনেছি দুইটে
দাম সাতাশ টাকা মোটে।
মেপে দেখি দুইশ আট গ্রাম
ওজন হিসাবে নেহায়েত কম।
তা বলেছ বেশ? তবে-
হিসেবের ধরনটা যদি উল্টেদি
সোনার ওজনে তা আঠারো ভরি।
তাতেই ক্ষোভটা বাড়ছে তড়িঘড়ি।
আরে এটা আর তেমন কি?
বাজার দরটাই একটু বেশী।
আ-হা! বাজার দরটাই বেশী।
দেশটা যেন মগের মুলুক
সব শালাদের মুখে কুলুপ।
কেউ করেনা রা যতসব আজাইরা।
আহা চটছো কেন? দেখনা
দেশে যে নামে কোন ধান নাই
কিন্তু চাউল আছে মিনিকেট;
ও হ্যাঁ কি যেন! সিন্ডিকেট।
আরে ওটাই তো নাটের গুরু
পেঁয়াজ দিয়ে দাম বাড়ানো শুরু।
এখনতো চাল-ডাল সব নিত্যপণ্য
হুহু করে দাম বাড়ানোই অগ্রগন্য।
পরে গুজব ছড়ালো লুটেরার দল
লবণ সংকট; দৌড়ে জনতার ঢল।
লবণ কেনার পড়লো হিড়িক দেশে
লোকে বাড়তি দামে কিনলো শেষে।
ফের শুনি দাম বেড়েছে বেগুনের
আলু পটল ঢ়েঁড়শ উচ্ছে করলার।
কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে আতপ
চাল এখন বিক্রি ছিয়াশি টাকায়।
শুধু ঢাকায়? নাকি সারা দেশে
পিঁয়াজের ভরি দেড় টাকা এখন
চালের ভরি এক। আগামী দিনে
বস্তা ভর্তি টাকায় কিনতে হবে
নিত্যপণ্য সব ভরি ভরি প্যাক।