ভবি-তব্য – অসীম চক্রবর্ত্তী
সবে মাত্র কবিতার নামকরণ করেছি ‘ভবি-তব্য’
হঠাৎ কলিংবেলের শব্দ ..
দরজা খুলেই ! বিস্রস্ত বেশ বিস্রস্ত কেশ
দেখে মনে হলো সর্বহারা সব শেষ ।
আমি চমকে এলাম বেরিয়ে !
বলার ভাষাটুকুও গেল হারিয়ে ।
এ কোন দৈন্য দশা ?
নেই শাখা সিঁদুর যেন গিলেছে সর্বনাশা !
বিবর্ণ মুখ, চোখে কালসিটে কালো দাগ,
দুহাতে পোড়া ক্ষত চোখেমুখে অবসাদ ।
আমাকে দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে উঠলো
গেটের বাইরে সিড়িতেই বসে পড়লো ।
রাখতে পারলো না পাথর চাপা মনের বাধ
আমারও মন কুকড়ে উঠে বললো কাঁদরে একটু কাঁদ
কাঁদবো কি সেই কবেই শুকিয়েছে চোখের জল,
জানে সব পশুপক্ষী ও গাছের দল,
জানেনা শুধু ঐ জাতপাতের বিচারকারী মনুষ্যদল ।
অজ্ঞাতবাসেই চেয়েছিলাম জীবনের মুক্তি,
বাকি জীবনের সমাপ্তি ।
বিধ্বস্ত জীবন শুনেছিল সেদিনের উক্তি,
মানেনি সেদিনের যুক্তি
হারিয়েছিলাম তাকে পারিনি ধরে রাখতে
অপরের হল যেদিন পারিনি আর বিহনে থাকতে ।
নতজানু হয়ে ও বললো বাড়িতে কেউ নেই ?
বললাম আমি আগের মতোই গো সেই
আমি বললাম তুমিই করেছো মোরে অনুঢ়
লজ্জায় সে হল ভীষণ বিমূঢ়
স্বপ্নের দরজা দিলাম খুলে,
আগের সমস্ত কিছু ভুলে ।
ভাবিনি এক অজ্ঞাত বাসের অন্তে,
মিলিব মোরা আজ এই দিনান্তে ।।