মধ্যবিত্ত।

প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন :--👍

Loading

ভোর না হতেই ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে পড়ে সে কাজে,

সারাটা দিনই কর্মক্ষেত্রেগৃহে ফেরে সেই সাঁঝে।

কখনো বা সেই ফিরতে ফিরতে হয় মধ্য

রাত,

শ্রান্ত শরীরবিনিদ্র নিশাসততই সংঘাত।

এমন ভাবেই দিনগুলি যায় যন্ত্রের ন্যায় কেটে,

মাস চলেনাবেতন যা মিলেউদয় অস্ত খেটে।

ওরা  মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিভু অভাবী চিরকাল,

নুন আনতে পান্তা ফুরায়,চাল আছে নেই

ডাল।

দেশের পতাকা তাদেরই স্কন্ধে চাকুরে মধ্যবিত্ত ,

তাদের করেই উচ্চশ্রেণীর ভর্তুকি বাড়ে

নিত্য,

বিনোদন থেকে বিদেশ ভ্রমণমধ্যবিত্ত ফাঁসে,

সন্চয়ে সুদ প্রতিদিনই কমেতবুও যে তারা হাসে।

তাদের অর্থ রে লুটপাট ধনিকের কর ভরে,

বিদেশের যত আমদানী করা নামী দামী গাড়ি চড়ে।

এমন করেই একদিন তারা পলাতক দূরদেশে,

দেখেও না দেখে প্রশাসন হায়আড়লে কেবল হাসে।

মধ্যবিত্তজীবন কঠিনযণ্ত্রণা পদে

পদে,

স্রোতের বিমুখে যুঝে এরা সদা জীবনের

মহানদে।

ধনী কি গরীবকাহারও বুঝি বা থাকে না অভাববোধ,

আর নৈতিকতার সাঁড়াশির চাপে বাকিদের

শ্বাসরোধ।

চাকুরীজীবী মধ্যবিত্তগত জনমের শাপ,

সারাটা জীবন কেবল দহন সং যে সারের চাপ।

প্রথম জীবনে মধ্যবিত্ত ভাবে অনেক কিছু,

হায় জানতে পারে না স্বপ্ন কখন নিয়েছে যে তার পিছু।

বাস্তবতার সমুখে যখনই তখনই স্বপ্নভঙ্গ,

বড়ই করুণ হায়রে তাদের এমত জীবন রঙ্গ।

বহু সমস্যার মুখোমুখিতবু বুকে বল মুখে হাসি,

পরাজয় ওরা কভু নাহি মানেবলেজীবনকে ভালবাসি

কত মনীষীর জন্ম দিয়েছে যে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণী,

তাঁদের জীবন কাহিনী মুছায় চিত্তের যত গ্লানি।

চরৈবতি,চরৈবতিমধ্যবিত্ত ব্রত,

এগিয়ে চলার সংগ্রামে ওরা অবিচল,

অবিরত।

মধ্যবিত্ত স্থাপন করেছে এই সমাজের ভিত্তি,

গর্বিত তারাবরিষ্ঠ শ্রেণীনয় কোনো অত্যুক্তি।

আপন অংসে এই সমাজের লয়েছে তারাই ভার,

ওরা চাকুরীজীবী মধ্যবিত্তজয়ই কণ্ঠ হার।

মধ্যবিত্ত এই সমাজের মহিমান্বিত অংশ,

ওদের বিহনে সমাজের লয়হবে পৃথ্বীর ধ্বংস।

           —————————-

স্বপন চক্রবর্তী।

0

Publication author

1
একটি বহুজাতিক সংস্থায় প্রবন্ধক পদে কর্মরত ছিলাম। ২০১৭ সালে ৬০ বছর বয়সে অবসর নিয়েছি । এখন কবিতা ও গল্প লেখা আমার অবসরের সাথী।
Comments: 0Publics: 25Registration: 26-08-2020
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

পরিচিতি বাড়াতে একে অপরের লেখায় মন্তব্য করুন। আলাপের মাধ্যমে কবিরা সরাসরি নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। জমিয়ে তুলুন কবিতার আড্ডা।