মৃত মায়ের উদর ছিঁড়ে পৃথিবীতে এসেছি
আমাকে চিনতে পেরেছো?
আমি মৃত মায়ের উদর ছিঁড়ে বেড়িয়ে এসেছি
তোমাদের এই আইন পদদলিত করবো ব’লে।
সেইদিন আমি বাপ-মা, বোনের সাথে সহযাত্রী হয়নি
তোমাদের এই সিংহাসন ভূলুন্ঠিত করবো ব’লে
আমি বেঁচে আছি অধীশ্বরের অধিক ক্ষমতায়
তোমাদের ক্ষমতা সে-তো পদ্মপাতার জল।
আমি ভূমিষ্ট হ’য়ে-ই রক্তস্রোতে স্নান করেছি
উদর ছিঁড়ে রক্ত ছিটকে যে রাজপথ রঞ্জিত হ’য়ে ছিলো সেই রক্ত পানে মিটিয়েছি তৃষ্ণা।
মৃত লাশ দ্যাখেছি চোখের সামনে –
মাল বোঝাই ট্রাকের হর্ণের বিকট শব্দ আর বিষাক্ত ধোঁয়ায়-
আমার কার্পাসের মতো হৃদয় পুড়ে ধুসর মরুভূমি হ’য়ে গিয়েছে।
আমাকে মৃত্যুর ভয় দ্যাখিও-না
মৃত্যুর ভয় পরাজয় করে আমি ভূমিষ্ট হ’য়েছি
আপনজন হারিয়ে আমি সত্যের মশাল জ্বালাতে এসেছি।
মাতৃহারা সাদ্দাদকে বাঁচিয়ে ছিলেন অথৈজল থেকে
বাঘিনীর দুগ্ধ পিলায়ে, দিয়েছিলেন অসীম শক্তি
কুমারীর গর্ভে এসেছিলেন যিশু –
স্রস্টার মহত্ত্ব বিলিয়েছেন সৃষ্টির পিছু।
চলন্ত ট্রাক আমায় করতে পারেনি পিষ্ট
আমি স্রস্টার আর্শীবাদে জন্মেছি রিষ্টপুষ্ট
আমার প্রতি অবহেলা হাসপাতাল হতে সৃষ্ট
অনিয়মের স্পাইনাল কর্ড করে দেবো নষ্ট।
আমাকে চিনতে পেরেছো নিশ্চয় –
আমার নিঃশ্বাস থেকে কাঁচা রক্তের ঘ্রাণ বেড়িয়ে আসে
আমি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত কিংবা –
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যদি নিয়মে চলতো দেশ
আমার সবকিছু হতোনা শেষ —
আমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দ্যাবো
হ্যামিলেনের বাঁশি বাজিয়ে টেনে নিযে যাবো –
ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরী ট্রায়াঙ্গল।
সাদ্দাদের পর এমন এতিম –
আসেনি হয়তো আর কেউ ভবে
দ্বিতীয়টি আমি হলাম তোমাদের রাজনীতির রোষানলে।
আমার আগমনে দেশ নড়েছে –
যৌবনে নাড়াবো পৃথিবী
আমার হাত ধরে গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বসতি।
রাজনীতির যাঁতাকলে মুজিবকে মেরেছো
মেরেছো মজলুমের হৃদয়ের স্পন্দন জিয়াকে –
খাঁচায় বন্দী রেখে কোরআনের পাখি –
ঘুমাচ্ছো আরাম-আয়েশে
মৃত্যুর মুখ থেকে স্রস্টা বাঁচিয়েছেন আমায় –
ক্ষমতালোভীদের রক্তে-কলুষিত ভূমি ধুয়ে পবিত্রতা ফিরিয়ে আনতে
নির্লোভী জনদরদী মানুষ রাজনীতির রশি টানতে।
আমাকে চিনতে পেরেছো?
আমাকে চিনতে পেরেছো?
আমাকে চিনতে পেরেছো?
এই সত্যের প্রজ্জ্বলিত আলোর মশালে আমার মুখটাকে ভালোভাবে চিনে নাও
আমি মৃত মায়ের উদর ছিঁড়ে পৃথিবীতে এসেছি।
২১/০৭/২০২২ সৌদি আরব