মৌনতার সাধনার সারমর্ম
বেশি কিছু নয়- এই যে
মিশেছি তোমার সাথে প্রায় মৌনতার মধ্য দিয়ে-
এটাই অনেক কিছু।
কেবল তো মেঘ হলো-
মুহূর্তেই বৃষ্টি চাইলে তো হবে না,
মেঘ আর বৃষ্টির মাঝখানের মৌন সময়টুকুর
মূল্য না বুঝলে, এই অপেক্ষাটুকুর
আপেক্ষিক গুরুত্ব অনুধাবন না করলে
জীবনে তেমন কোনো কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।
কোকিলের ডাকের জন্যে
ব্যাকুল হলেই তো আর বসন্ত আসবে না-
তার জন্যে পুরো একটি শীতকাল পার করতে হয়;
সে পার করার মধ্যে কি কোনো পরমার্থ
লুকিয়ে থাকে না,
কিংবা রহস্য?
উপভোগ্য কোনো কিছু থাকে না?
কষ্টের তা কেবলি?
মনে রাখতে হবে শীতেও ফুল ফোটে- শিউলি
তারও একটি রহস্য রয়েছে- কুয়াশা-
তা ভেদের মধ্য দিয়ে আনন্দের
আবিষ্কার করতে হয়;
শীতলতায় কিছুটা সংকুচিত হওয়া স্বাভাবিক
কিন্তু তার কম্পনের করতলগত হলে চলে না-
বসন্তকে বরণ করে নেয়ার আশার
আগুন পোহানোর ব্যবস্থা করতে হয় সেখানে।
যেখনে আশা নেই সেখানে অপেক্ষা
পক্ষাঘাতগ্রস্ত হবে,
যেখানে মৌনতার মূল্য নেই সেখানে ঈপ্সিত শব্দের
সম্ভাবনা সুদূরপরাহত হবে,
যথার্থ সৃষ্টির আগে একটি অবকাশ থাকতেই হবে-
একটি সময়ের ক্ষেপণ প্রয়োজন সেখানে,
একটি সরব সৃষ্টির পূর্বে
মৌনতার সাধনার কমবেশি একটি পরিসর
চিরকাল থাকে-
আমি সে পরিসরে বেশ আছি এখন।
© শুকদেব চন্দ্র মজুমদার
০৭-১২-২০২৩