যদি না থাকতো কিচ্ছু
যদি গর্দানের ‘পর না থাকতো মাথা
এতো ভাবনা কি কভু দিতো যাঁতা?
টনটনিয়ে করতোনা ব্যাথা শিরা
এ মৃত্যুর চেয়েও কঠিনতম পীড়া।
ভাবনায় আসতে না তুমি —
আসতো না সত্য মিথ্যের ফারাক।
থাকতো না দুই কান —
শুনতে হতোনা মজলুমের চিৎকার।
যদি গর্দানের ‘পর না থাকতো মাথা
থাকতো না দুই চক্ষু —
দ্যাখতে হতোনা এ-তো মানুষ বুভুক্ষু
ঝরতো না বেদনার বিষাক্ত অশ্রু।
থাকতো না মুখ, তীক্ষ্ণ দন্তপাটি
হাড়হীন মাংসের ধারালো ছুরি
কথার আঘাতে ভাঙ্গতো না কারোর হৃদয়
সবাই সবার প্রতি থাকতো সদয়।
যদি গর্দানের ‘পর না থাকতো মাথা
আমাকে ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা —
তব মস্তিষ্কে দিতো কি কভু যাঁতা
আজ আমি পরিত্যক্ত এক ছেঁড়া পাতা।
থাকতো না শির — ছাড়তে না কভু নীড়
নিতে না কভু প্যারা, হতাম না পরিত্যক্ত ছেঁড়া
অগোচরে বলতো না কেউ মোরে ত্যাড়া
আর বুঝি হবেনা তোমার ঘরে ফেরা।
যদি গর্দানের ‘পর না থাকতো মুন্ডু
কেউ কি ভাবতো কাউকে করার পণ্ডু।
কষতো না পৃথিবী ধ্বংসের ক্যালকুলাস
উল্লাস করতো না দ্যাখে রক্ত মাখা লাশ।
গর্দানের ‘পর যদি না থাকতো কিচ্ছু
তোমাকে দ্যাখার থাকতো না দু’চক্ষু
হাসির প্রেমে পড়তো না কেউ —
জীবন সাগরে উঠতো না বিরহ যাতনার ভয়ঙ্কর ঢেউ।
১৮/০৬/২০২২ সৌদি আরব